—ফাইল চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই এখন ভরসা রাখছে পাহাড়ের দলগুলি।
মঙ্গলবার পাহাড় সফরের দ্বিতীয় দিনে দু’টি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। একটি জিএনএলএফের সঙ্গে। আর একটিতে হাজির ছিলেন জিটিএ-র মাথারা। বৈঠকের পরে জিএনএলএফের মুখপাত্র নীরজ জিম্বা বলেন, ‘‘আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করি। তিনি যেটা বলেন, সেটা কাজে করে দেখান। আমরা নরেন্দ্র মোদী বা বিজেপিকে বিশ্বাস করি না।’’ আর জিটিএ-র তত্ত্বাবধায়ক চেয়ারম্যান তথা মোর্চা প্রধান বিনয় তামাং এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।’’
লোকসভা নির্বাচনে মোর্চার পাশাপাশি পাহাড়ের অন্য দলগুলির সমর্থন নিশ্চিত করতে চাইছিলেন মমতা। পাহাড়ের দুই বড় দলের কথা শুনে অনেকেই বলছেন, সেই লক্ষ্য পূরণে অনেকটাই এগোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কেউ কেউ জিএনএলএফের কথাটি উল্লেখ করে বলেন, ‘‘ওঁরা বলেছেন বিশ্বাস করেন। কিন্তু তৃণমূল প্রার্থীকে তাঁরা সমর্থন করবেন কি না, তা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।’’
রিচমন্ড হিলে এ দিন জিএনএলএফ এবং মোর্চার সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন মমতা। দলের জিএনএলএফের সভাপতি মন ঘিসিংয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানে মনেরা জানিয়ে দেন, শুধু আর্থিক প্যাকেজে হবে না, পাহাড় সমস্যার সমাধান করতে দার্জিলিংকে ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত করতে হবে। এটা তাঁদের পুরনো দাবি।
শুরু থেকেই জিএনএলএফকে গুরুত্ব দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিনয় তামাংদের সঙ্গে মন ঘিসিংদের অল্পবিস্তর মতপার্থক্যে ভোটের আগেই মিটিয়ে ফেলতে চাইছেন তিনি। মনের কথাতেই এ দিন তা স্পষ্ট। কিছু দিন আগে জিটিএ-র কাজকর্মে স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ তুলেছিলেন জিএনএলএফ নেতাদের একাংশ। প্রশ্ন করলেও এ দিন সেই প্রসঙ্গে কিছু বলেননি মন। বরং বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর উপর আমাদের আস্থা আছে। আমাদের দাবি নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করা হবে বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।’’
জিটিএ-র প্রশাসনিক বৈঠক শেষে মোর্চার সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মোর্চা সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভায় কাকে প্রার্থী করা যেতে পারে, সেই বিষয়ে বিনয়দের মতামত জানতে চেয়েছেন তিনি। ভোটের আগে তাদের জিএনএলএফ-র সঙ্গে সমঝোতা করে চলার পরামর্শও দিয়েছেন। পরে বিনয় বলেন, ‘‘ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী আবার পাহাড়ে আসবেন। তখন ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy