গত ২২মে ওয়াকফ-আঁচে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদে গিয়ে নতুন মহকুমা গঠনের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন সুতি, ধুলিয়ান এবং ফরাক্কার মানুষদের জন্য নতুন মহকুমা অফিস গঠন করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী, নতুন মহকুমা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে ফরাক্কা। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
ফরাক্কা ,শমসেরগঞ্জ, সুতি-১ ও ২ ব্লক নিয়ে গঠিত হচ্ছে ফরাক্কা মহকুমা। মুর্শিদাবাদের ষষ্ঠ মহকুমার প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ১০৯টি চুক্তিভিত্তিক পদ তৈরির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মমতার মন্ত্রিসভা। তা ছাড়া, পূর্ত,স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, আইন এবং পুর দফতর মিলিয়ে ৩৩৬টি পদ সৃষ্টিতে ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা।
এত দিন মুর্শিদাবাদ জেলায় পাঁচটি মহকুমা ছিল— বহরমপুর, কান্দি, লালবাগ, ডোমকল ও জঙ্গিপুর। নতুন করে হবে ফরাক্কা। অদূর ভবিষ্যতে শমসেরগঞ্জে সেই মহকুমার কার্যালয় গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তার ফলে ফরাক্কা এবং সুতির বাসিন্দাদের প্রশাসনিক সুবিধা হবে। ফরাক্কা থেকে জঙ্গিপুরের দূরত্ব প্রায় প্রায় ৬০ কিলোমিটার। কিন্তু শমসেরগঞ্জে মহকুমা কার্যালয় হলে ফরাক্কাবাসীকে প্রশাসনিক প্রয়োজনে মাত্র ১৫ কিলোমিটার রাস্তা পেরোতে হবে।
আরও পড়ুন:
সোমবার মন্ত্রিসভার পূর্বনির্ধারিত বৈঠক হয়। জানা গিয়েছে, সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার সময়ে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়েন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। বস্তুত, সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাঙ্কের সঙ্গে পরিবহণ দফতরের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নাকি কিছু জানানো হয়নি! কিন্তু রাজ্য সরকারের কোনও দফতর নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রণয়ন করতে চাইলে তাতে মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি নেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে তেমনটা করা হয়নি। তাই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর রোষানলে পড়েন স্নেহাশিস। দ্রুত পরিবহণ দফতর যেন তাঁকে ওই বিষয়ে সমস্ত তথ্য জানায়, সে বিষয়ে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।