প্রতীকী ছবি।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে পা়ড়ার ক্লাবে সালিশি সভা বসেছিল। সেখানে মারধর করায় অপমানে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক প্রতিমা শিল্পী। হাব়ড়ার বাণীপুর এলাকার এই ঘটনায় সোমবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। রাতেই স্থানীয় মহিলারা অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালান। মৃতের প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মারধরে অভিযুক্ত ক্লাবের সদস্য তপন দাস ওরফে বাবলি এবং তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মৃত সুজয় পালের স্ত্রী সোমাকেও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ৪ নভেম্বর রবিবার। ওই রাতে পেশায় শুল্ক বিভাগের অফিসার, যিনি আবার স্থানীয় বাণীপুর ইতনা মিলন সঙ্ঘের কর্মকর্তা, মত্ত অবস্থায় সুজয় পালের বাড়িতে যান। সেখানে সুজয়বাবুর স্ত্রী সোমাদেবীকে তিনি ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। আক্রান্ত মহিলার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাবড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু ওই ক্লাবের কেউ এ নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি।
এ পর বিষয়টি মেটাতে গত ৫ নভেম্বর সোমবার সালিশি সভা বসে মিলন সঙ্ঘে। সেখানে সুজয় পাল ছিলেন। অভিযোগ, সালিশি সভার মধ্যেই সুজয়বাবুকে মারধর করা হয়। তাতে অপমানিত সুজয়বাবু রাতে বাড়ি ফিরে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাবড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকতারা এম আর বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই মঙ্গলবার সুজয়বাবুর মৃত্যু হয়।ওই রাতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে এলাকার মহিলারা তপন দাসের বাড়িতে চড়াও হন। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ।
আরও পডু়ন: নারীর পবিত্রতা কি যোনিতেই সীমাবদ্ধ ? শবরীমালা বিতর্কে বিস্ফোরক অভিনেত্রী
আরও পড়ুন: খবর হতেই সাসপেন্ড আধিকারিক, আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়া চাল-টাকা বিলি শুরু সিঙ্গুরের চাষিদের
মৃতের স্ত্রী সোমা পালকেও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, তপন দাসের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিলেন সোমাদেবী। স্বামীর নিষেধ না শুনে কার্যত অবাধেই তাঁরা মেলামেশা করতেন। দীর্ঘ এই টানাপড়েনও সুজয়বাবুর আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। সুজয়বাবুর একটি ৮ বছরের মেয়ে রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy