রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী
সন্ধে হতে না-হতেই মহিলারা টেলিভিশনের সামনে বসে পড়ছেন— এই ছবি এখন ঘরে ঘরে। যে-সব অনুষ্ঠানের টানে ‘প্রাইম টাইম’-এর এত চাহিদা, সেগুলো মূলত হরেক কিসিমের সিরিয়াল বা ধারাবাহিক। এবং তার অধিকাংশই সাংসারিক ঝামেলা বা পারিবারিক ষড়যন্ত্রে ভরপুর। এই নিয়ে একই সঙ্গে অসন্তোষ ও উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।
ওই সব ধারাবাহিকের বিষয়বস্তু সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর বলে বুধবার ‘ফিকি-ফ্লো, কলকাতা’ আয়োজিত ‘ফ্লো অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড লিগ্যাল সেল’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। ‘‘দুর্ভাগ্যের বিষয়, বেশ কিছু চ্যানেলে এমন কিছু সিরিয়াল সম্প্রচারিত হচ্ছে, যেখানে সংসার ভাঙার ষড়যন্ত্র, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া-সহ নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। তাই অনেক সিরিয়ালই সমাজের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়,’’ বলেন রাজ্যপাল ত্রিপাঠী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই রাজ্যপালের বক্তব্য সমর্থন করেছেন। তাঁদের পর্যবেক্ষণ, বাংলা বা হিন্দি সিরিয়ালে বাড়ির মেয়ে, বৌ, শাশুড়ি এবং অন্য অনেক মহিলা চরিত্র এমন ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, যা সমাজে শিক্ষামূলক বা বিনোদনমূলক কোনও বার্তাই পাঠায় না। জনসমক্ষে এমন কিছু ছবি তুলে ধরা উচিত, যা নারীসমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। কিন্তু বেশির ভাগ সিরিয়ালে যা দেখানো হয়, তাতে মহিলাদের সম্মান তো বাড়েই না, উল্টে কমে যায়। এ দিন ‘ফ্লো অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড লিগ্যাল সেল’ নামে একটি নতুন উদ্যোগের সূচনা হয়। কোনও মহিলা সমস্যায় পড়লে এই সেলের মাধ্যমে রাজনৈতিক এবং আইনি সহায়তা মিলবে বলে জানান আয়োজকেরা। রাজ্যপাল ছাড়াও এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রুমা পাল, বিন্দ্রা গ্রোভার, আশা নায়ার প্রমুখ। ছিলেন ফ্লো-র জাতীয় সভাপতি বিনীতা বিমভেত এবং কলকাতা শাখার চেয়ারপার্সন অনুরাধা সুরেখাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy