প্রতীকী ছবি।
হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে স্কুল সার্ভিস কমিশন অবৈধ ভাবে নিযুক্ত ১৮৩ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। এখন কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকার অভিযোগ, তাঁদের নিয়োগ বৈধ। তবু এসএসসি ঘুরপথে নিযুক্তদের তালিকায় তাঁদের নাম ঢুকিয়েছে। পূর্বিতা রায়, সফিকুল হক-সহ ন’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা সোমবার নিজেদের নথি নিয়ে এসএসসি-র অফিসে হাজির হন। তাঁদের নথি পরীক্ষার পরে এসএসসি অবশ্য জানিয়েছে, তালিকায় কোনও ভুল হয়নি। ওই ন’জন মেধা-তালিকায় উপরে থাকা প্রার্থীদের টপকে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
১৮৩ জনের নাম প্রকাশ করলেও এসএসসি জানিয়েছিল, ওই তালিকার মাত্র ৮১ জন চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, পূর্বিতা, সফিকুলের মতো ওই ন’জন সেই ৮১ জনের মধ্যে আছেন। এ দিন সকালে এসএসসি অফিসে ঢোকার আগে নাম প্রকাশ করে ‘সম্মানহানি’ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। পূর্বিতা বলেন, ‘‘তফসিলি জাতির মূল তালিকায় আমার র্যাঙ্ক ছিল ৩২৮ এবং মহিলাদের মধ্যে ১৪৫। আমি উত্তর ২৪ পরগনার একটি স্কুলে জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে কাজ করছি। এসএসসি আমার নাম ওই তালিকায় প্রকাশ করায় আমাকে সামাজিক হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে।’’ ২০১৯ সালে চাকরির দাবিতে ধর্মতলায় আন্দোলন করেছিলেন পূর্বিতা। তার পরে চাকরি পান। তিনি বলেন, ‘‘আন্দোলন করেছিলাম। তবে চাকরি পেয়েছি যোগ্য বলেই।’’
সফিকুল জানান, ওই তালিকায় নাম প্রকাশের পরে অনেকে স্কুলে যাওয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে তিনি স্কুলে যাচ্ছেন। হাতে থাকা নথি দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মেধা-তালিকায় ওবিসি মেল-ফিমেল মিলিয়ে আমার র্যাঙ্ক ১২১। সব নথি নিয়ে আমি এসএসসি-র দফতরে এসেছি।’’
এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এ দিন সফিকুলদের নথি পরীক্ষা করেন। সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘‘ওদের নথি দেখেছি। আমাদের তালিকায় কোনও ভুল নেই। র্যাঙ্ক টপকে চাকরির অভিযোগ ছিল ওই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy