শহরের বহু নামী রেস্তোঁরাতেই হুইলচেয়ার ঢোকার র্যাম্প নেই। প্রতীকী ছবি।
কলকাতায় এসে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোঁরাতে বিরিয়ানি খাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন দিল্লির যুবক আরমান আলি। কিন্তু রেস্তোঁরায় যাওয়ার আগে মনে প্রশ্ন উঁকি মারল, রেস্তোঁরাতে হুইলচেয়ার ঢোকার র্যাম্প আছে তো? আশঙ্কাই ঠিক প্রমাণিত হল। শহরের বহু নামী রেস্তোঁরাতেই র্যাম্প নেই।
আরমানের মতোই প্রতিবন্ধী যুবক বিভাস দাসও শোনালেন পদে পদে ঠোক্কর খাওয়ার গল্প। পোলিয়ো-তে দু’টি পা আক্রান্ত তাঁর।
সমাজে সচেতনতার অভাব কিন্তু এই যুবকদের দমিয়ে দেয়নি। শত বাধা অতিক্রম করে জীবন যুদ্ধে জিতেছেন ওঁরা। সেই জেতার গল্পই শোনালেন তাঁরা শুক্রবার আমেরিকান সেন্টারে। যেমন বিভাস জানালেন, ক্রাচ নিয়েই তিনি গোটা বিশ্ব ঘুরে বেড়ান। প্যারা অলিম্পিকে হুইলচেয়ার ফেনসিংয়ে রুপো জিতেছেন। বিভাস বলেন, ‘‘ক্রাচটা আমার কোনও দুর্বলতা নয়, বরং এটা আমার শক্তি। সমাজের কাছ থেকে কোনও দয়া চাই না। চাই আর একটু সচেতনতা।’’
হুইল চেয়ারে বসেই আরমান বলেন, ‘‘মূল স্রোতের সঙ্গে ষেন এক প্রতিবন্ধী মিশে যেতে পারে সেটা দেখা খুব জরুরি। ফলে সাধারণ স্কুলেও প্রতিবন্ধীরাও যেন পড়াশোনা করতে পারে সেটা দেখা দরকার। সেই পরিকাঠামো থাকা দরকার।’’ আরমান নিজে একজন শ্যুটার। প্যারা স্পোর্টস ক্যাটাগরিতে তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খেলে বেড়িয়েছেন। আর এক প্রতিবন্ধী স্বপ্নিল তিওয়ারি বিভিন্ন দেশে প্রতিবন্ধীদের জন্যই কাজ করেন। পেয়েছেন নানা সম্মান। তাঁর মতে, প্রতিবন্ধকতা তো থাকবেই। কিন্তু তার মধ্যেই লক্ষ্যে অবিচল থাকলেই জয় আসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy