E-Paper

স্থায়ী চিঠি নেই শিক্ষকদের

শিক্ষা দফতরের নিয়মানুসারে স্কুলে যোগ দেওয়ার পরে প্রথম দু’বছর অস্থায়ী সময়কাল বা ‘প্রভিশন পিরিয়ড’ হিসেবে গণ্য হয়। এর পরেই পর্ষদ থেকে তাঁদের স্থায়ী নিয়োগপত্র পাওয়ার কথা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:০৯
teacher.

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিয়োগ হয়ে গিয়েছে চার বছর আগে। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে যোগ দেওয়া সেই শিক্ষকেরা ক্লাসও নিচ্ছেন যথাযথ নিয়ম মেনে। তবে, ‘অনিশ্চয়তা’র সুতোয় ঝুলে রয়েছে তাঁদের চাকরি। ২০১৮ সালে একাদশ-দ্বাদশ এবং ২০১৯-এর নবম-দশমের নিয়োগপত্র পাওয়া সেই শিক্ষকদের সিংহভাগের অভিযোগ, চার বছর পেরিয়ে গেলেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে তাঁদের স্থায়ী নিয়োগপত্র বা ‘কনফার্মেশন লেটার’ এখনও এসে পৌঁছয়নি সংশ্লিষ্ট স্কুলে। ফলে শিক্ষকতা শুরু করলেও তাঁদের চাকরি জীবনের অনিশ্চয়তা কাটেনি।

শিক্ষা দফতরের নিয়মানুসারে স্কুলে যোগ দেওয়ার পরে প্রথম দু’বছর অস্থায়ী সময়কাল বা ‘প্রভিশন পিরিয়ড’ হিসেবে গণ্য হয়। এর পরেই পর্ষদ থেকে তাঁদের স্থায়ী নিয়োগপত্র পাওয়ার কথা। কিন্তু, রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে নিয়োগ দুর্নীতির জেরে সিবিআই ও ইডির তদন্ত শুরু হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষকের স্থানীয় নিয়োগপত্র এখন বিশ বাঁও জলে। শিক্ষকদের অনেককেরই তাই আক্ষেপ— এ শুধু অনিশ্চয়তা নয়, পাকা নিয়োগপত্র হাতে না পাওয়ায় এর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে আত্মসম্মানের প্রশ্নটিও।

বাঁকুড়ার আকুই ননিবালা গার্লস হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষিকা মধুমিতা নস্কর বলেন, ‘‘২০১৯ সালে স্কুলে যোগ দেওয়ার দু’বছর পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কনফার্মেশনের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদে আবেদন করেছি। চার বছর পেরিয়ে গেল। এখনও কনফার্মেশন চিঠি পেলাম না।’’ তাঁদের দাবি, নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েও তদন্তের ঘেরাটোপে থমকে গিয়েছে তাঁদের স্থায়ী নিয়োগপত্র। পর্ষদের এক কর্তা অবশ্য বলছেন, ‘‘শিক্ষকদের স্থায়ী নিয়োগপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশ ভেরিফিকেশন, মেডিক্যাল পরীক্ষা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি এক সঙ্গে না আসার ফলেই এই বিপত্তি। এ ব্যাপারে একটি বিশেষ সেল তৈরি করা হয়েছে। দ্রুত এই সমস্যা মেটানোর চেষ্টাও হচ্ছে।’’

স্থায়ী নিয়োগপত্রের আশায় বসে থাকা শিক্ষকদের দাবি, লিখিত পরীক্ষায় ওএমআর শিটে বিকৃতি কিংবা মেধা তালিকায় অদল বদলের কোনও অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে নেই। অনেকেরই দাবি, প্রয়োজনীয় সব নথিই পৌঁছেছে পর্ষদে। তা সত্ত্বেও স্থানীয় নিয়োগপত্র পেতে বিলম্ব কেন? প্রশ্নেরই উত্তর হাতড়াচ্ছেন শিক্ষকেরা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

School Teachers West Bengal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy