কংগ্রেসের নতুন পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচনের বিষয়ে বিধায়কদের মতামত জানতে কলকাতায় দূত পাঠাচ্ছে হাইকম্যান্ড। এআইসিসি-র সদস্য অম্বিকা সোনি এবং এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সি পি জোশী আজ, শুক্রবার বিধান ভবনে দলের ৪৪ জন বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করবেন। কেন্দ্রীয় নেতারা বিধায়কদের মতামত নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার পর দিল্লি থেকে পরিষদীয় দলনেতা তথা বিরোধী দলনেতার নাম ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচিত এবং পরাজিত প্রার্থীদের নিয়ে দু’দিন আগেই বৈঠক করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তার পরেই ৪৪ জন বিধায়কের জীবনপঞ্জী দিল্লিতে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জমা দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত দলনেতা বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত হাইকম্যান্ড নিলেও রাজ্যে দলের অন্দরে এখন আব্দুল মান্নান এবং মানস ভুঁইয়ার মধ্যেই মূল প্রতিযোগিতা। মানসবাবুর সংসদীয় অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা অনেক বেশি ঠিকই। কিন্তু দলের একটা বড় অংশ সংখ্যালঘু মুখ হিসেবে বর্ষীয়ান মান্নানেরই পক্ষে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। মান্নানের উদ্যোগেই সারদা কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছিল। তার উপর শাসক দল তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও রকম ‘আপস’ না করারই পক্ষপাতী মান্নান। বামেদের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়াও মসৃণ। অন্য দিকে দীর্ঘদিন বিধায়ক থাকার পাশাপাশি মমতা-সরকারে মন্ত্রিত্ব সামলানোর অভিজ্ঞতাও রয়েছে মানসবাবুর।
বিরোধী দলনেতা মনোনয়ন নিয়ে টানাপড়েন শুরু হওয়ার পরে মানসবাবু বৃহস্পতিবার সকালেই দিল্লিতে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেছেন। মানসবাবুর অবশ্য দাবি, হরিদ্বার যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে তিনি দিল্লি পৌঁছেছিলেন। তবে আজকের বৈঠকের খবর পেয়ে দিল্লি থেকেই হরিদ্বার-যাত্রা বাতিল করে কলকাতায় ফিরতে হয়েছে তাঁকে। মান্নান অবশ্য ছিলেন ধর্মতলার অবস্থান মঞ্চে, ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্তদের সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy