পঞ্চায়েত স্তরে একশো দিনের কাজ ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা রাজনৈতিক চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অর্থের যথাযথ ব্যবহারও রাজ্যকে বেশ চিন্তায় রেখেছে। কারণ, প্রতি বছরই বরাদ্দের অনেকটা অর্থ অব্যবহৃত থেকে যায়। এই অবস্থায় পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন-সহ একাধিক বিষয়ে পঞ্চায়েত দফতর এবং জেলা প্রশাসনের ভূমিকা খতিয়ে দেখল কেন্দ্র।
শুক্রবার রাজ্যের পঞ্চায়েত কর্তা এবং জেলাগুলির অতিরিক্ত জেলাশাসকদের (জেলা পরিষদ) নিয়ে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রকের সচিব বিবেক ভরদ্বাজ। সূত্রের দাবি, রুদ্ধদ্বার ওই বৈঠকে কার মধ্যে কেমন ভাবনা, প্রকল্প প্রয়োগের গতি, অভিনবত্ব খোঁজার চেষ্টা ইত্যাদি খতিয়ে দেখা হয়েছে।
এ দিনের আলোচনার বিষয়বস্তুগুলির মধ্যে ছিল রাষ্ট্রীয় গ্রাম স্বরাজ অভিযান (আরজিএসএ) ও তার আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প, ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের জন্য পঞ্চায়েত উন্নয়ন পরিকল্পনা, পঞ্চায়েত উন্নয়ন সূচক, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ এবং তার ব্যবহার, পঞ্চায়েতগুলির নিজস্ব রাজস্বের মতো বিষয়। প্রশিক্ষণও এর একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছিল। গত পঞ্চায়েত ভোটের পরে রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের প্রায় সর্বত্র নতুন বোর্ড তৈরি হয়েছে। ফলে পরিকল্পনা করা থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন— সবের উপর প্রশিক্ষণটি গুরুত্ব পেয়েছে।
রাজ্যের অবশ্য দাবি, ইতিমধ্যেই এই সব স্তরের পদাধিকারীদের পেশাদার প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে বাকি সব পদক্ষেপ নিয়ে মন্ত্রকের কর্তাদের কাছে একটি উপস্থাপনাও দেওয়া হয় এ দিন।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের ৪৮ ঘণ্টার মাথায় মন্ত্রকের কর্তাদের রাজ্যে এসে বৈঠক করা তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, একশো দিন এবং আবাসে কেন্দ্রের বরাদ্দ আটকে রয়েছে। যদিও প্রশাসনের একটি মহলের দাবি, এই বৈঠকের সঙ্গে সে সবের সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)