কৌশিক, অনিরুদ্ধর পর সিরাজুল। ফের চুরির অপবাদে পিটিয়ে মারা হল এক যুবককে। এবারের ঘটনাস্থল কোলাঘাটের কাছে সাহাপুর গ্রাম। মোবাইল চুরির অভিযোগে যেখানে পিটিয়ে মারা হয়েছে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে।
বছর ২২-এর সিরাজুল ইসলাম পাশের গ্রাম ছাতিন্দার বাসিন্দা। বাবা পেশায় রং মিস্ত্রি। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় পড়াশোনা শেখেননি সিরাজুল। তাঁর কাজ বলতে ছিল, সারাদিন এ দিক ওদিক ঘুরে বেড়ানো। এর জন্য বাবা-মার কাছে অনেকবার বকাও খেয়েছেন। কিন্তু, এতে যে কিছু বিপদ আসতে পারে তা বোঝার মতো ক্ষমতাও ছিল না তাঁর। বুধবার রাতে তাই হল। সন্ধ্যায় নিজের খেয়ালেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সিরাজুল। ইতিউতি ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছে যান সাহাপুর গ্রামে। এই গ্রামে একটি হোসিয়ারি কারখানা থেকে কয়েকদিন ধরেই মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা চুরি যাওয়ার অভিযোগ করছিলেন কর্মীরা। বুধবার গভীর রাতে সিরাজুলকে কারখানা চত্বরে ঘুরে বেড়াতে দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। বেধড়ক মার জোটে তাঁর কপালে। বৃহস্পতিবার সকালে কারখানা চত্বর থেকেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে কারখানার মালিক-সহ ৬ জনকে।
আরও পড়ুন: আম চোরের বন্ধু! পিটিয়ে খুন ছাত্রকে
সিরাজুলের খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে তাঁর পরিবার। বাবা লিয়াকত আলি বলেন, ‘‘সে মাঝে মধ্যেই রাতে বাড়িতে আসত না। ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। রাতে বাড়ি ফেরেনি। ভেবেছিলাম কাছাকাছি কোথাও হয়ত আছে। আমার ছেলে চোর নয়।’’ দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছে সিরাজুলের পরিবার।
এ ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। আম চুরিতে মদত দেওয়ার সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়েছে ঠাকুরপুকুরের অনিরুদ্ধ বিশ্বাসকে। বুধবার মারা যান অনিরুদ্ধ। এর আগে মোষ চোর সন্দেহে ডায়মন্ডহারবারে কৌশিক পুরকাইত নামে এক আইটিআই ছাত্রকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy