প্রতীকী ছবি।
পাখি ধরার নেশা তিনজনেরই। তাই স্কুল ছুটি থাকলেই আশপাশের বাগানে পাখির খোঁজে ঢুঁ মারত তিন খুদে। রবিবার সকালেও তাই তিন বন্ধু পাখি ধরতে যাচ্ছে বলায় পরিবারের লোকেরা বাধা দেয়নি। কিন্তু তার পরিণাম যে এমন হবে ভাবতে পারেননি ওই খুদেদের বামা-মায়েরা।
পাঁশকুড়ার নিকাশি কিশোরচক গ্রামের তিন খুদে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র শেখ সাকিল, পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া সাবির গায়েন ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শেখ তাজেত রবিবার পাখি ধরতে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বেরোয়। কিন্তু বেশ কয়েক ঘণ্টা পরেও না ফেরায় শুরু হয় খোঁজখবর। দিনের শেষে খোঁজ না পেয়ে পাঁশকুড়া থানায় নিখোঁজ অভিযোগ করেন তাদের পরিবার। মঙ্গলবার সকালে পাঁশকুড়া থানা থেকে ফোনে তিনটি পরিবারকে জানানো হয় তাদের ছেলের খোঁজ মিলেছে। তিনজনেই রয়েছে সেখানকার একটি হোমে।
পাঁশকুড়া থানা সূত্রে খবর, ছেলেগুলো নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে থানায় খবর আসে ওই তিনজন সেখানকার রেলপুলিশের কাছে রয়েছে। রেল পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরেই পাঁশকুড়া স্টেশন থেকে শেখ সাকিল, সাবির ও শেখ তাজেত ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেসে উঠে পড়ে। ভুবনেশ্বর স্টেশনে নেমে ঘোরাঘুরির সময় রেলপুলিশের নজরে পড়ে তারা। সঙ্গে সঙ্গে তিনজনকে আটক করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা। মঙ্গলবার তারা পাঁশকুড়া থানায় খবর পাঠায়।
শেখ তাজেতের মা সুলতানা বিবি বলেন, ‘‘ছেলের খোঁজে নাওয়া খাওয়া ভুলেছিলাম। দু’দিন ধরে নানা জায়গায় খুঁজেছি। মঙ্গলবার দুপুরে যখন খবর পেলাম ওদের উদ্ধার করা হয়েছে তখন দুশ্চিন্তা কমে।’’ এদিনই পাঁশকুড়া থানার পুলিশকে নিয়ে ওই তিন শিশুর পরিবার ভুবনেশ্বরে রওনা দেন।’’
তবে পাখি ধরার নাম করে বেরিয়ে কেন তারা ট্রেনে ভুবনেশ্বরে গেল, নাকি কেউ তাদের ভুলিয়ে নিয়ে গিয়েছিল তা বুঝে উঠতে পারছেন না পুলিশ ও তিন শিশুর পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy