দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
সচেতনতার প্রশ্নে আবারও ফেল পথ নিরাপত্তা। ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ নিয়ে হাজার প্রচারেও হুঁশ ফেরেনি। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দিঘা-কলকাতা সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি গাড়ি। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চালক-সহ পাঁচ জনেরই। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া গাড়িটি থেকে মদের বোতলও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাঁথির এসডিপিও ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। পুলিশের অনুমান সকলেই মদ্যপ ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত নীলকমল ওরফে ভোলা মাইতি(৩০), শশীকান্ত ওরফে পিন্টু পাত্র (৪৩), শম্ভু দাস (২৭), শেখ বান্টি (৩২), সেলিম লস্কর (২৩)— সকলেই দিঘা-মন্দারমণি এলাকার বাসিন্দা। ওই রাতে দিঘা থেকে বেরিয়ে তাঁরা উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। রাত প্রায় ২টো নাগাদ মারিশদা থানা এলাকার শিল্লিবাড়িতে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বিকল লরির পিছনে ধাক্কা মেরে তার তলায় ঢুকে যায় গা়ড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার জনের। চালক সেলিমকে গুরুতর জখম অবস্থায় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে সেলিমের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনা পরেই পুলিশের টহলদারি গাড়ি প্রথম উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে লরির নিচ থেকে গাড়ি ও আটকে থাকা আরোহীদের বের করতে ক্রেন নিয়ে আসে মারিশদা থানার পুলিশ। শুক্রবার সকালে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে আসেন মৃতদের পরিজনেরা। জানা গিয়েছে, মৃতরা সকলেই দিঘার ট্যাক্সিস্ট্যান্ড ও হোটেল কাজ করতেন। তবে শেখ বান্টি কলকাতা সংলগ্ন শহরতলি এলাকার বাসিন্দা। মাস তিনেক আগে দিঘায় টুরিস্ট গাইডের কাজ করতে আসেন। সেখানেই ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি সেলিমের।
মৃত নীলকমলের ভাই নীলরতন মাইতি বলেন, “আমাদের বাড়ি দিঘা মোহনার খাদালডোবা গ্রামে। দাদা দিঘার একটি হোটেলে কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ বাড়িতে জানিয়েছিলেন ইছাপুর যাচ্ছেন।” মৈত্রাপুরের বাসিন্দা পিন্টু পাত্রর দু’টি গাড়ি দিঘা বাসস্ট্যান্ডে ভাড়া খাটে। ওই রাতে তিনি বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। তাঁর ভাই রাজা জানিয়েছেন, বান্টিই ফোন করে ডেকে নেন। পুলিশের অনুমান বান্টিই ওই রাতে সেলিমের গাড়ি নিয়ে কলকাতার দিকে যাওয়ার কথা বলেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy