ভেঙে পড়েছে বাড়ির দেওয়াল। নিজস্ব চিত্র
দেওয়াল চাপা পড়ে পাঁশকুড়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের গড় পুরুষোত্তমপুরে মৃত্যু হল আড়াই বছরের এক শিশুর। বুধবারের ওই দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে আরও তিন শিশু।
গড় পুরুষোত্তমপুরের বাসিন্দা শেখ জাহাঙ্গীর ব্যাঙ্গালুরুতে মার্বেলের কাজ করেন। বাড়িতে থাকেন তাঁর মা, স্ত্রী, বোন, ভাই এবং তাঁদের চার মেয়ে। আবাস যোজনার টাকায় পুরনো বাড়ির পিছনে একটি নতুন বাড়ি তৈরি করেছেন জাহাঙ্গির। ইটের দেওয়াল দেওয়া, অ্যাসবেস্টারের ছাউনি দেওয়া পুরনো বাড়িটি রান্না এবং খাওয়ার কাজে ব্যবহার করা হত। এ দিন সকালে জাহাঙ্গীরের ভাইপো ও ভাইঝির সঙ্গে পুরনো বাড়িতে খেলছিল তাঁর দুই মেয়ে। সকাল ৯টা নাগাদ পুরনো বাড়ির মাটির মেঝে বসে যায় বলে দাবি স্থানীয়দের। তার ফলে বাড়িটির দুটি দেওয়াল ভেঙে পড়ে। নীচে চাপা পড়ে যায় চারটি শিশুই। স্থানীয়েরা শিশুগুলিকে দ্রুতউদ্ধার করেন।
গুরুতর জখম অবস্থায় জাহাঙ্গীরের আড়াই বছরের কন্যা জ়ারা খাতুনকে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই শিশুটি মারা যায়। বাকি তিন শিশুর মধ্যে দু’জনকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় জাহাঙ্গিরের বছর পাঁচেকের এক শিশুকন্যাকে সেখান থেকে তমলুক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। একজন শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। আরেক শিশুর আঘাত কম থাকায়, তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
মেয়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ব্যাঙ্গালুরু থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন জাহাঙ্গীর। তাঁর প্রতিবেশী মুরসেদ মল্লিক বলেন, ‘‘এ দিন সকালে পুরনো বাড়ির দুটি দেওয়াল ভেঙে চারটি শিশু চাপা পড়ে যায়। হাসপাতালে একটি শিশু মারা গিয়েছে। আরেকজনের আঘাত গুরুতর। বাকি দুটি শিশু ভাল আছে।’’ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পাঁশকুড়ার পুর প্রশাসক নন্দকুমার মিশ্র এবং উপ পুরপ্রশাসক সইদুল ইসলাম খান। নন্দ জানান, তাঁরা পরিবারের পাশে রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy