পুত্রের শাশুড়ির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ঝাড়গ্রামের বিশ্বেশ্বর শবর। সেই প্রেম গড়ায় বিয়ের পিঁড়িতে। বিয়ের পর নববধূকে নিয়ে ঘরে তুলতেই শুরু হয় অশান্তি। আগেই পক্ষের দুই স্ত্রীর সঙ্গে রোজই এই নিয়ে ঝগড়া হত। অভিযোগ, সেই অশান্তির কারণেই বিশ্বেশ্বরের হাতে খুন হলেন তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী!
ঝাড়গ্রামের পাটাশিমূলের মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বেশ্বর। গ্রামের সকলের কাছে তিনি চাঁদু নামে পরিচিত। স্থানীয় সূত্রে খবর, চাঁদু প্রায় মদ্যপান করতেন। সেই অবস্থাতেই বাড়ি ঢুকতেন। অশান্তি করতেন স্ত্রীদের সঙ্গে। দিন কয়েক আগে তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর পুত্রের বিয়ে হয় গ্রামেই। তখনও কেউ জানতেন না, তলে তলে নিজের পুত্রের শাশুড়ির সঙ্গে প্রেম করছেন চাঁদু। যখন তাঁকে বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসেন তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়। এই নিয়ে বাড়িতে অশান্তি শুরু হলে নববধূকে নিয়ে আলাদা বাড়িতে থাকা শুরু করেন চাঁদু।
তবে তাতেও অশান্তি থামেনি। গত বুধবার সন্ধ্যায় কাজ সেরে বাড়ি ফিরলে আগের পক্ষের স্ত্রীদের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় চাঁদুর। ঝগড়া ক্রমশ চরমে ওঠে। তার মাঝেই দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী মালতিকে ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুন করেন বলে অভিযোগ। তার পরে গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলের পাশে পুঁতে দেন দেহ!
অন্য দিকে, বাড়িতে মাকে দেখতে না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মালতীর পুত্র। তবে তার পরেই জানাজানি হয়ে যায় মালতির খুনের বিষয়টি। গ্রামে পুলিশ আসতেই তাদের কাছে চাঁদুর বিরুদ্ধে মাকে খুনের অভিযোগ করেন তাঁদের পুত্র। তার পরেই চাঁদুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সূত্রের খবর, প্রথমে স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেননি অভিযুক্ত। পরে জেরায় ভেঙে পড়েন। শুক্রবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে ঝাড়গ্রাম আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।