E-Paper

সরকারি জমি বিক্রি! গ্রেফতার

পুলিশ ঘটনা জানতে পারে। গত শুক্রবার বাঁকুড়ার বারিকুলের বাসিন্দা শম্ভু ঝাড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, জমি কিনতে সঞ্জয়কে অগ্রিম টাকা দিয়েছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪ ০৮:২৭
সরকারি জমিতে বোর্ড থাকা সত্ত্বেও বিক্রির চেষ্টা চলছিল। ঝাড়গ্রাম শহরে একলব্য সরণির ধারে।

সরকারি জমিতে বোর্ড থাকা সত্ত্বেও বিক্রির চেষ্টা চলছিল। ঝাড়গ্রাম শহরে একলব্য সরণির ধারে। নিজস্ব চিত্র।

সরকারি জমি দখল রুখতে বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেও থেমে নেই জমি মাফিয়াদের কারবার। এ বার অরণ্যশহরে ভুয়ো দলিল তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারি জমি বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সঞ্জয় পাল। বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের বিদ্যাসাগরপল্লিতে। পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, ‘‘এই চক্রে কারা জড়িত তা জানতে ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’

গত বুধবার রাতে জনৈক শম্ভু মণ্ডলকে শহরের একলব্য সরণির পাশে একটি জমি দেখাতে নিয়ে যান সঞ্জয়। তারপর রামকৃষ্ণ মিশনের পাশে ফাঁকা একটি জায়গা দেখিয়ে তাঁর নিজের বলে দাবি করেন। সেখানে টহলরত পুলিশের সন্দেহ হয়। তারপরই পুলিশ ঘটনা জানতে পারে। গত শুক্রবার বাঁকুড়ার বারিকুলের বাসিন্দা শম্ভু ঝাড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, জমি কিনতে সঞ্জয়কে অগ্রিম টাকা দিয়েছিলেন। শম্ভুর নামে রেজিস্ট্রি করে দলিল ও প্রয়োজনীয় নথি বের করে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেয় সঞ্জয়। দাবি করে, এমন লোকের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে যারা অফিশিয়াল স্ট্যাম্প এবং সিল দিয়ে কাগজপত্র করতে পারে। নোটিস বোর্ডে সরকারি জায়গা লেখা থাকার পরও সঞ্জয় কাগজপত্র বের করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল।

অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারায় মামলা রুজু করে। শুক্রবার রাতেই সঞ্জয়কে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার ধৃতকে ঝাড়গ্রামের সিজেএম আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। ভুয়ো দলিল ও রেকর্ড বের করার নজির ঝাড়গ্রামে রয়েছে। এর আগে অর্জুনডহরে লোধা-শবরদের প্রায় ৮ বিঘা জমি বেহাত হয়ে ভুয়ো দলিলে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। অন্যের নামে রেকর্ডও হয়ে গিয়েছিল। তখন ভূমি দফতরের এক আধিকারিক যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছিল। পরে অবশ্য লোধা-শবরদের জমি ফেরানো হয়।

ঝাড়গ্রাম শহরে বহু সরকারি জমি বেআইনি ভাবে বিক্রি হয়েছে। তাতে ঘর-বাড়িও হয়েছে। পাট্টার জমিও বেআইনি ভাবে বিক্রি হয়েছে। একলব্য স্কুল ও রামকৃষ্ণ মিশন লাগোয়া রাস্তার ধারে ২০ একর জমি জবরদখল করে তৈরি হচ্ছে বাড়ি। অথচ জমিতে জেলাশাসকের দেওয়া নোটিস বোর্ডে স্পষ্ট লেখা, সরকারি জমি জবরদখল করলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) শেখ আনসার আহমেদ বলেন, ‘‘সরকারি জমি কেনা-বেচা পুরোটাই বেআইনি। যাঁরা কিনছেন ভুল করছেন। আর যাঁরা বিক্রি করছেন তাঁরা অপরাধী। প্রয়োজন মতো আমরা জবরদখল উচ্ছেদ করে দেব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

ghatal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy