E-Paper

বন্ধুর স্ত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, ফেরার অভিযুক্ত

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ক’দিনের পুরনো। গত ২৩ ডিসেম্বর দাসপুর থানার সামাট গ্রামের বসিন্দা সুরজিৎ পাত্র মদের বোতল নিয়ে রামদাসপুরে এক বন্ধুর বাড়িতে যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:১১
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

বন্ধুর বাড়িতে বসেছিল মদের আসর। এরপর মদ্যপ অবস্থায় বন্ধুর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি-সহ ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল দাসপুরে।

দাসপুরের রামদাসপুরের ওই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে শ্রীমন্ত সাঁতরা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকেই মূল অভিযুক্ত সুরজিৎ পাত্র ফেরার। তাকে গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার সামাট গ্রামে অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হন মহিলার পড়শি ও আত্মীয়েরা। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়। এলাকায় পৌঁছন ঘাটালের মহকুমা পুলিশ অফিসার অগ্নিশ্বর চৌধুরী-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটকালে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ক’দিনের পুরনো। গত ২৩ ডিসেম্বর দাসপুর থানার সামাট গ্রামের বসিন্দা সুরজিৎ পাত্র মদের বোতল নিয়ে রামদাসপুরে এক বন্ধুর বাড়িতে যায়। সেখানে সুরজিতের সঙ্গে ওই গ্রামেরই শ্রীমন্ত সাঁতরা-সহ আরও এক বন্ধু ছিল। তিনজনে মিলে রামদাসপুরে ওই বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে মদের আসর বসায়। তখন রাত সাড়ে ন’টা। যে বন্ধুর বাড়িয়ে বসেছিল আসর, সেই বন্ধু খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। বন্ধুর স্ত্রী তখন পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। অভিযোগ, বন্ধু ঘুমোচ্ছে এই সুযোগ নিয়ে, তার স্ত্রীর কাছে চলে যায় সুরজিৎ।

এরপর সুরজিৎ ওই মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে জোর করে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বুঝে কোনও ভাবে বাড়ির বাইরে এসে চিৎকার শুরু করেন ওই মহিলা। চিৎকারে পড়শিরা ছুটে আসেন। তারপর মহিলাকে উদ্ধার করে অভিযুক্তদের পাকড়াও করার চেষ্টা করেন পড়শিরা। মূল অভিযুক্ত সুরজিৎ-সহ বাকিরা পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার অভিযোগ পেয়েই পুলিশ সুরজিতের সঙ্গীকে গ্রেফতার করে। তবে সুরজিৎ এখনও ফেরার। তার খোঁজে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তবে বুধবারও সে ধরা না পড়ায় এ দিন মহিলার পড়শি ও আত্মীয়েরা সামাট গ্রামে গিয়ে সুরজিতের বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা চালান। সেই খবর পাওয়ার পরই এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ পৌঁছে প্রতিরোধ করায় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। ঘণ্টা দেড়েক পর পুলিশি হস্তক্ষেপে উত্তেজনাস্বাভাবিক হয়।

বিষয়টি নিয়ে মহকুমা পুলিশ অফিসার অগ্নিশ্বর চৌধুরী বলেন, ‘‘ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তেরখোঁজ চলছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

ghatal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy