এক সময়ে স্কুলে পড়াতেন। এখন কলেজশিক্ষক। রয়েছেন তৃণমূল-সমর্থিত ‘ওয়েবকুপা’র জেলা সহ-সভাপতি পদেও। ছ’বছর পরে সেই শিক্ষকের নাম এসএসসি-র ‘দাগি’ তালিকায় থাকায় উঠেছে প্রশ্ন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষা বিজ্ঞানের শিক্ষক সোমনাথ রায়। ২০১৯ সালে কলেজে চাকরি পান। সম্প্রতি এসএসসি-র প্রকাশিত ‘অযোগ্য’ তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে। এ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে সবং কলেজে। তবে, প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলছেন না। অধ্যক্ষ তপন দত্ত বলেন, ‘‘সোমনাথ এই কলেজে ২০১৯ সালে যোগ দেন।’’
২০১৬ সালের প্যানেল থেকে ২০১৮-য় মহেশতলার পাঁচুড় হাইস্কুলে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন সোমনাথ। সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জলিলুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, “এসএসসি-র প্রকাশিত তালিকায় সোমনাথ রায়ের যে রোল নম্বর আছে, সেটি আমাদের স্কুলে সোমনাথ রায় নামে যে শিক্ষক ছিলেন, তাঁরই। ২০১৯ সালে তিনি কলেজে যোগ দেন। ওঁর সঙ্গে দেড়-দু’মাস কাজ করেছি।”
সোমনাথ ফোনে বলেন, “কী ভাবে জানব, আমার নাম এসএসসি-র অযোগ্য তালিকায় কেন রয়েছে!” পরে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। মেসেজেরও জবাব দেননি। ওয়েবকুপা-র ঘাটাল জেলার সভানেত্রী রূম্পা চক্রবর্তীর দাবি, “এই বিষয়টি জানা নেই।”
সোমনাথ কী ভাবে কলেজশিক্ষক হলেন, দাগি তালিকায় তাঁর নাম প্রকাশিত হওয়ায় সেই প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৮ সালে যে কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়ে তিনি চাকরি পান, তাতেও অনিয়ম হয়েছে বলে বিতর্ক চলছে। সবংয়ের বাসিন্দা, বিজেপির জেলা নেতা অমূল্য মাইতির কটাক্ষ, “যিনি স্কুলে পড়ানোরও যোগ্য নন, তিনি কী ভাবে কলেজে পড়াচ্ছেন, সেটাই আশ্চর্যের। ওই কলেজের সভাপতি মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। ওঁর পদক্ষেপ করা উচিত।” মানসের বক্তব্য, “ওঁর অতীত ইতিহাস আমার জানা নেই। উনি সবংয়ের বাসিন্দা নন। যদি নিজের যোগ্যতায় নিয়ম মেনে অধ্যাপক হয়ে থাকেন, তাতে তো প্রশ্নের অবকাশ নেই। আমি যতটুকু জানি, উনি ভাল অধ্যাপক।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)