Advertisement
E-Paper

চার বছরেও শুরু হয়নি সেতুর কাজ

শিলান্যাসই সার। চার বছরেও কাজ শুরু হল না সেতুর। পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর ও নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের মাঝে দুনিয়া খালের উপর চকপাটনার কাছে কংক্রিটের সেতু তৈরির জন্য ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছিল বছর কয়েক আগেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৫ ০১:০৬
এভাবেই চলে নিত্য যাতায়াত।

এভাবেই চলে নিত্য যাতায়াত।

শিলান্যাসই সার। চার বছরেও কাজ শুরু হল না সেতুর।

পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর ও নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের মাঝে দুনিয়া খালের উপর চকপাটনার কাছে কংক্রিটের সেতু তৈরির জন্য ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছিল বছর কয়েক আগেই। তবে সম্পূর্ণ হওয়া দূরের কথা, সেতু নির্মাণের কাজই শুরু হয়নি এখনও। সমস্যায় নন্দীগ্রাম ও চণ্ডীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা বলেন, ‘‘চকপাটনায় সেতুর কাজের জন্য নিযুক্ত ঠিকাদারের মৃত্যুর ফলে কাজ পিছিয়ে যায়। সেতুর জন্য নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কাজের প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত ওই সেতুর কাজ শুরুর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

জেলা পরিষদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিঘা–কলকাতা রাস্তায় চণ্ডীপুরের মগরাজপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের তেরপেখ্যা বাজার পর্যন্ত গ্রামীণ পাকা সড়ক তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকবছর আগেই। তেরপেখ্যা বাজার হয়ে নন্দীগ্রাম বাজার যাওয়ার পাকা রাস্তাও রয়েছে আগে থেকেই। চণ্ডীপুর–নন্দীগ্রাম রাজ্য সড়ক ছাড়াও মগরাজপুর থেকে নন্দীগ্রামে যাওয়ার ওই রাস্তায় চণ্ডীপুর ব্লকের চকপাটনা ও নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের পশ্চিম মঙ্গলচক গ্রামের মাঝে দুনিয়া খালের উপর থাকা কাঠের সেতুর জায়গায় নতুন পাকা সেতু তৈরির জন্য উদ্যোগী হয় জেলা পরিষদ। এ জন্য গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় অর্থও বরাদ্দ করা হয়। ২০১১ সালের ১ মার্চ সেতু তৈরির কাজের শিলান্যাস হয়। সেতু তৈরির জন্য ঠিকাদার সংস্থা নিয়োগ করে কাজের অনুমতি দেয় জেলা পরিষদ। তবে সেতুর কাজ এখনও শুরু হয়নি।

সময়মতো সেতুর কাজ না হওয়ায় প্রকল্পের খরচও বেড়ে গিয়েছে। ফলে সেতু তৈরির জন্য গত আর্থিক বছরে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করে ফের কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সবমিলিয়ে সেতু তৈরির জন্য বরাদ্দ হয় ২ কোটি ১৭ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। গত বছর মার্চ মাসে নতুন ঠিকাদার সংস্থাকে ওই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও সেতুর কাজ শুরু হয়নি বলে অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খালের দু’দিকেই পাকা রাস্তা থাকা সত্ত্বেও পাকা সেতু ছিল না। কংক্রিটের সেতু তৈরির কাজ হবে বলে খালের উপর থাকা থাকা কাঠের সেতুটি দীর্ঘদিন মেরামত হয়নি। ফলে কাঠের সেতুটিও ভেঙে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ওই খালের উপর একই জায়গায় একটি অস্থায়ী কাঠের সেতু তৈরি করে কোনও রকমে লোকজন যাতায়াত চলছে। ট্যাক্সি-সহ যাত্রীবাহী কোনও গাড়ি চালচল করতে না পারায় সমস্যা বাড়ছে। সেতুর কাজে টালবাহানায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের দাবি, খালের উপর পাকা সেতু নির্মাণের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

পার্থপ্রতিম দাসের তোলা ছবি।

tamluk bridge nandigram money
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy