Advertisement
E-Paper

কেন্দ্রীয় প্রকল্পে এ বার ‘স্মার্ট’ হচ্ছে জঙ্গলমহলের গ্রামও

‘স্মার্ট সিটি’র পরে ‘স্মার্ট ভিলেজ’। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে এ বার আধুনিক গ্রাম গড়ে উঠবে জঙ্গলমহলের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরে। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, রাজ্যের একাধিক জেলায় স্মার্ট ভিলেজ প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করবে কেন্দ্র।

বরুণ দে

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৩৩

‘স্মার্ট সিটি’র পরে ‘স্মার্ট ভিলেজ’। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে এ বার আধুনিক গ্রাম গড়ে উঠবে জঙ্গলমহলের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরে। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, রাজ্যের একাধিক জেলায় স্মার্ট ভিলেজ প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করবে কেন্দ্র। এর মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরও রয়েছে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের সঙ্গে জেলার বৈঠক হয়েছে। তাতে ছিলেন জেলার গ্রামোন্নয়ন দফতরের কর্তারা। কী ভাবে প্রকল্প এগোবে, সেই নিয়েই প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।

প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, গ্রাম-শহরের ফারাক কমাতে অটরবিহারী বাজপেয়ীর আমল থেকেই ‘পুরা’ (প্রোভিশন অব আর্বান অ্যামিনিটিস ইন রুরাল এরিয়াজ) নামে একটি প্রকল্প ছিল। কেন্দ্রে মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে তারই নাম বদলে করে রার্বান মিশন (রুরাল-আর্বান)। তারপর একপ্রস্ত নাম বদলে সেই প্রকল্পের নতুন নাম হয় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রার্বান মিশন। এই প্রকল্পে ৫,১৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্র। রার্বান প্রকল্পে এর আগে ‘স্মার্ট ভিলেজ’ শব্দের ব্যবহার হয়নি। গত বছর এটা ব্যবহার করে কেন্দ্র।

এই প্রকল্পে ঠিক কী হবে? প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট গ্রামের রাস্তাঘাটের উন্নতি হবে, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হবে, পানীয় জলের জোগান বাড়ানো হবে। ভৌগোলিক ভাবে একই ধরনের কিছু গ্রামকে নিয়ে এক-একটি তালুক তৈরি হবে। আগামী তিন বছরে কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের তিনশোটি তালুক তৈরির পরিকল্পনা করেছে। গ্রামোন্নয়নে বর্তমানে যে সব সরকারি প্রকল্প রয়েছে যেমন গ্রামীণ সড়ক, পানীয় জল, সেচ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা প্রভৃতির আওতায় তালুক উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ হবে। তারপর অতিরিক্ত তহবিল লাগলে প্রকল্পের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ তিরিশ শতাংশ টাকা দেবে কেন্দ্র। জেলার এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, “গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত করাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য।”

মোদী সরকার আগেই ‘স্মার্ট সিটি’ প্রকল্প চালু করেছে। রাজ্যের চারটি শহর নিউটাউন, বিধাননগর, দুর্গাপুর এবং হলদিয়া স্মার্ট সিটি প্রকল্পে জায়গা করে নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে শহরের পরিকাঠামো, ইতিহাস এবং শহরবাসীর গড় চাকরির মানের ওপর নির্ভর করে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শহরগুলোকে প্রকল্পের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। স্মার্ট ভিলেজের ক্ষেত্রে অবশ্য এমন কোনও প্রতিযোগিতা থাকছে না। কেন্দ্র-রাজ্য আলোচনার মাধ্যমে প্রকল্পের জন্য গ্রামের নাম স্থির হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কোন কোন গ্রাম এই প্রকল্পের আওতায় আসবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। জেলার এক প্রশাসনিক কর্তার কথায়, “জেলাস্তরে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এ ক্ষেত্রে কিছু মাপকাঠি রয়েছে। সেই সব শর্ত পূরণ করেই প্রকল্পের কাজ এগোতে হবে।”

Smart village
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy