এক ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন দাঁতনের জেনকাপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ধীরেন্দ্রনাথ জানা। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে এ বার বিক্ষোভ-অবরোধে সামিল হল স্কুল পড়ুয়ারা। সোমবার এই আন্দোলনের জেরে স্কুলে আর পড়াশোনা হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার দাঁতন ২ ব্লকের জেনকাপুর হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সঙ্গীতা গিরির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিয়ের পরেও আঠারো পেরনো সঙ্গীতা বাপের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছিলেন বলে এলাকার কিছু যুবক তাকে কটূক্তি করছিল এবং সে কথা প্রধান শিক্ষককে জানানোয় তিনিও সঙ্গীতাকে অপমান করেন বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরা প্রধান শিক্ষক ধীরেন্দ্রনাথবাবুকে মারধর করে। পরে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তিনি এখন জেল হেফাজতে রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ঘটনার পরে সোমবারই প্রথম স্কুল খোলে। প্রার্থনার পরেই ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের গেটের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। হয় অবরোধ। একাদশ শ্রেণির ছাত্র দেবাঞ্জন দাস বলেন, “আমরা ছ’বছর ধরে এই প্রধান শিক্ষককে দেখছি। উনি অত্যন্ত ভদ্র মানুষ। ওঁকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।’’ অভিভাবক হরেন্দ্রনাথ জানার আবার বক্তব্য, “ওই ছাত্রীর স্কুলে আসতে সমস্যা হওয়ায় প্রধান শিক্ষক কয়েকদিন তাকে আসতে বারণ করেছিলেন। এই কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে।’’
ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ-অবরোধের কথা জেনে স্কুলে পৌঁছন পরিচালন সমিতির সদস্যরা। আসেন বিডিও। বিডিওর গাড়ি ঘিরেও বিক্ষোভ চলে। পরে প্রধান শিক্ষকের মুক্তি ও তাঁকে মারধরে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি বিডিওকে লিখিত ভাবে জানায় পড়ুয়ারা। বিডিও রুনু রায় বলেন, “প্রধান শিক্ষকের গ্রেফতার আইন মেনে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। পড়ুয়াদের বলেছি, স্কুল বন্ধ করে আন্দোলন
ঠিক নয়। আর প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অচলাবস্থা কাটাতে এ দিন বৈঠকে বসেছিলেন স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যরা। আসে পুলিশও। বিকেলে বৈঠক শেষে পড়ুয়ারা দাবি পূরণের জন্য সাতদিন সময়সীমা দিয়ে অবরোধ তুলে নেয়। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি নলিনীকান্ত সাহু বলেন, “প্রধান শিক্ষকের গ্রেফতার আমরাও মেনে নিতে পারিনি। তবে স্কুল বন্ধ করে বিক্ষোভ যে ঠিক নয় তা পড়ুয়াদের বোঝানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy