একশো দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে নন্দীগ্রামের সামসাবাদ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান, নির্বাহী সহায়ক ও নির্মাণ সহায়কের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ব্লক প্রশাসন। ওই গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান অতনু জানাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে শুক্রবার নন্দীগ্রাম থানায় বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল সমর্থকরা।
এ দিন বিকেলে নন্দীগ্রাম থানার সামনে সামসাবাদ এলাকার বিভিন্ন গ্রামের কয়েক’শ তৃণমূল সমর্থক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখানোর সময় ওই প্রধানকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। এদিকে সামসাবাদ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান অতনু জানার গ্রেফতারের দাবি তুলে এদিন তৃণমূলের তরফে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিক্ষুদ্ধ হিসেবে অতনু জানা সহ তাঁর কয়েকজন অনুগামী নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়াই করে জিতেছিলেন। পরে অতনু জানা সহ ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ফের তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে দাবি করেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি।
নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পালের দাবি, ‘‘দলবিরোধী কাজের অভিযোগে সামসাবাদ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান অতনু জানা-সহ কয়েকজনকে অনেক দিন আগেই তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ফলে অতনু জানার সঙ্গে তৃণমূলের এখন আর কোনও সম্পর্ক নেই। ওই গ্রামপঞ্চায়েতে একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রশাসন যাতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় সেই জন্য এ দিন এলাকার বাসিন্দারা থানায় এসেছিলেন।’’
নন্দীগ্রামের আর এক তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শেখ সুফিয়ান অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অতনু জানা তৃণমূলেরই লোক। দল বিরোধী কাজের অভিযোগে তৃণমূল থেকে অতনুবাবুকে বহিষ্কারের দাবি একেবারেই ঠিক নয়। আর একশো দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে অতনুবাবুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’’