Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

বহির্বিভাগে দেরিতে ডাক্তার আসার নালিশ

মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরেও হাসপাতালে দেরিতে আসার জন্য কয়েকজন চিকিত্সক সমালোচিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। সময়মতো হাসপাতালে না এলে এবং দেরিতে বহির্বিভাগে বসলে এ বার চিকিত্সকদের শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৭ ০১:১২
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফরের আগে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মানোন্নয়নে শুরু হয়েছিল তৎপরতা। মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রাম ছাড়তেই ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে সময়মতো চিকিৎসকরা বলছেন বলে অভিযোগ। পরিস্থতির রাশ টানতে একসঙ্গে ৬ জন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সককে শো কজ করা হয়েছে বলে খবর।

মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরেও হাসপাতালে দেরিতে আসার জন্য কয়েকজন চিকিত্সক সমালোচিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। সময়মতো হাসপাতালে না এলে এবং দেরিতে বহির্বিভাগে বসলে এ বার চিকিত্সকদের শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

গত ৯ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর সফরের দিনগুলিতে হাসপাতালের বহির্বিভাগে নির্দিষ্ট সময়ে চিকিত্সকরা হাজির ছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বুধবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম ছাড়তেই ছবিটা বদলে যায়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বহির্বিভাগে সময়মতো আসেননি চারজন চিকিত্সক। শুক্র ও শনিবারও দেরিতে আসার অভিযোগ ওঠে আরও দুই চিকিত্সকের বিরুদ্ধে।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, একজন সার্জেন, একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞ, তিন জন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ও একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞকে শো-কজ করেছেন হাসপাতাল সুপার। অথচ গত মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামের সিএমওএইচ অশ্বিনী মাঝিকে সাফ জানিয়ে দেন, কারণে অকারণে রোগীদের রেফার করা হলে রেয়াত করা হবে না। সময়মতো চিকিত্সকরা যেন ডিউটি করেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছিলেন সিএমওএইচ।

প্রায় হাজার দু’য়েক রোগী প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসেন। অভিযোগ, ‘প্রাইভেট চেম্বার’ সামলে হাসপাতালের বহির্বিভাগে বসতে দেরি হয়ে যায় একাংশ চিকিত্সকদের। চিকিত্সকদের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, ওয়ার্ডে রাউন্ড দিয়ে বহির্বিভাগে বসতে কখনও কখনও একটু দেরি হয়। অথচ এই সমস্যা কাটাতে বহির্বিভাগে সকাল ১১টায় চিকিত্সকদের বসার সময় নির্ধারিত করেছেন কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে প্রতি শনিবার ‘রিভিউ মিটিং’ করছেন সুপার মলয় আদক। সারা সপ্তাহে চিকিত্সক ও নার্সরা ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করছেন কি না সেটা খতিয়ে দেখার জন্যই এই সাপ্তাহিক বৈঠক বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। হাসপাতালের সুপার মলয়বাবুর বক্তব্য, “এ ব্যাপারে কিছুই বলব পারব না।” ঝাড়গ্রামের সিএমওএইচ অশ্বিনী মাঝি বলেন, “চিকিত্সক দেরিতে এলে শো-কজ তো হবেই। সুপার উচিত কাজ করেছেন। সরকারি চিকিত্সকদের দায়িত্বসম্পন্ন হতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE