অবৈধ ভাবে বালি তোলা হচ্ছে— এই অভিযোগে শনিবার সকালে ৬টি বালি বোঝাই লরি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন একাংশ গ্রামবাসী। ঘটনাটি গড়বেতার নোহারির। পরে অবশ্য ওই লরিগুলোকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গড়বেতার এই এলাকার পাশ দিয়েই চলে গিয়েছে শিলাবতী নদী। শিলাবতীর চর থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলার অভিযোগ নতুন নয়। এ দিনে বিক্ষোভের জেরে এলাকায় শোরগোল পড়ে। স্থানীয় বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী বলেন, “এ দিন সকালের দিকে একটা সমস্যা হয়েছিল বলে শুনেছি। কয়েকটা বালি বোঝাই লরি কয়েকজন আটকে রেখেছিল। পরে সমস্যা মিটে গিয়েছে।’’ কেন অবৈধ ভাবে বালি তোলা আটকানো যাচ্ছে না? বিধায়কের জবাব, “অভিযোগের পেলে প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থাই নেয়।’’
এ দিন গড়বেতার নোহারিতে বিক্ষোভরত গ্রামবাসীদের দাবি, প্রচুর বালি বোঝাই লরি চলাচলের ফলে এলাকার একের পর এক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নদী বাঁধগুলোও দুর্বল হয়ে পড়ছে। মাস খানেক আগে মেদিনীপুর সদর ব্লকেও বালি বোঝাই লরি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন একাংশ গ্রামবাসী। একটি লরিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, বালি কারবারিদের একাংশের সঙ্গে তৃণমূলের কিছু লোকের যোগসাজশ রয়েছে। তৃণমূলের ওই লোকেরা সব রকম ভাবে কারবারিদের মদত করে। এই মদতের ফলেই দিনের পর দিন অবৈধ ভাবে নদীর চর থেকে বালি তুলে তা পাচার হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য ওই মদতের অভিযোগ মানতে নারাজ। তৃণমূলের গড়বেতা ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ বলেন, “এ দিন সকালে নোহারিতে একটা সমস্যা হয়েছিল বলে শুনেছি। এটা তেমন বড় কিছু নয়।” প্রশাসন জানিয়েছে, গড়বেতার ওই এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হবে। তল্লাশি- অভিযান চলবে। বৈধ কাগজপত্র না- থাকলে বালি বোঝাই লরি আটক করা হবে। অবৈধ ভাবে বালি পাচার রুখতে পুলিশ- প্রশাসন যৌথ ভাবেও অভিযান চালাতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy