Advertisement
E-Paper

পঞ্চায়েতে তালা এড়গোদায়

পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ৩০টি স্ব-সহায়ক দলের কয়েকশো মহিলা। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি ব্লকের এড়গোদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বিক্ষোভের জেরে ঘণ্টা তিনেক তালাবন্দি হয়ে থাকতে হয় পঞ্চায়েত কর্মীদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ০২:০০

অভিযোগ উঠেছিল ১০০ দিনের কাজে পক্ষপাত করা হচ্ছে। তার জেরে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন ৩০টি স্ব-সহায়ক দলের কয়েকশো মহিলা। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি ব্লকের এড়গোদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বিক্ষোভের জেরে ঘণ্টা তিনেক তালাবন্দি হয়ে থাকতে হয় পঞ্চায়েত কর্মীদের। খবর পেয়ে যুগ্ম বিডিও ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের বোঝালে তালা খুলে দেন তাঁরা।

ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত এড়গোদা পঞ্চায়েতের জয়পুর গ্রাম সংসদের মহিলা স্ব সহায়ক দলগুলিকে একশো দিনের কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে পক্ষপাত করা হচ্ছে বলে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল। জয়পুর গ্রাম সংসদে ৩৮টি স্ব-সহায়ক দল রয়েছে। এর মধ্যে সাত-আটটি দলকে বার বার একশো দিনের কাজের তদারকি করতে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। বাকি দলগুলির সদস্যদের বক্তব্য, বার বার আবেদন জানানো সত্ত্বেও তাঁদের একশো দিনের প্রকল্পে কাজ দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। নিয়মানুযায়ী, একশো দিনের প্রকল্পে কাজের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্ব-সহায়ক দলগুলিকে। ২৫জন শ্রমিক পিছু স্ব-সহায়ক দলের এক জন সদস্যকে সুপার ভাইজারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। শ্রমিকরা যেমন দৈনিক মজুরি পান, তেমনই কাজ দেখভালের জন্য স্ব-সহায়ক দলগুলিও টাকা পায়।

অভিযোগ, জয়পুর গ্রাম সংসদ থেকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য হিমাংশু মাহাত বেছে বেছে কয়েকটি দলকে দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। এর বিরুদ্ধে এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ৩০টি স্ব-সহায়ক দলের সদস্যরা এড়গোদা পঞ্চায়েত অফিসে হিমাংশুবাবুর বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে যান। কিন্তু সেখানে তখন প্রধান বা উপপ্রধান কেউই ছিলেন না। অভিযোগ, দফতরে থাকা নির্মাণ সহায়ক ওই মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এরপরই ক্ষুব্ধ মহিলারা পঞ্চায়েত অফিসে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা দাবি জানান, প্রধান ও উপ প্রধানকে এসে অভিযোগ শুনতে হবে। যদিও প্রধান বৈদ্যনাথ সরেন ও উপপ্রধান রঞ্জিত নায়েক আসেননি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দুপুর দু’টো নাগাদ বেলপাহাড়ির যুগ্ম বিডিও দেবব্রত মণ্ডলও পঞ্চায়েত অফিসে আসেন। তাঁর হস্তক্ষেপে তালা খুলে দেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্বে থাকা রুমা মাহাত, সাবিত্রী পাতর অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত সদস্যকে টাকা না দিলে একশো দিনের কাজের দেখভালের দায়িত্ব পাওয়া যায় না। অভিযোগ নিয়ে হিমাংশুবাবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। প্রধান বৈদ্যনাথ সরেন বলেন, “অসুস্থ থাকায় পঞ্চায়েত অফিসে যাইনি। হিমাংশুবাবু টাকা নিয়ে কাজ পাইয়ে দিচ্ছেন বলে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেননি। সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিয়ে এ ব্যাপারে খোঁজ নেব।”

বেলপাহাড়ির বিডিও সন্তু তরফদার বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। ওই মহিলারা যাতে কাজ পান, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

100 days work Anomaly Protest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy