আগেই ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে গড়বেতার ওসিকে। এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত আর এক ওসিকে বদলি করা হল ওডিশা সীমানা লাগোয়া মোহনপুর থানায়। পরপর বদলির ঘটনায় ভারতী ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অন্য পুলিশ আধিকারিকরাও শঙ্কিত বলে পুলিশমহলের এক সূত্রে খবর।
বৃহস্পতিবার জেলার পাঁচ পুলিশ অফিসারের বদলির নির্দেশ জারি করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। এরমধ্যে অন্যতম রাজশেখর পাইন। রাজশেখরবাবু দীর্ঘদিন খড়্গপুরের (লোকাল) ওসি ছিলেন।
পুলিশের এক সূত্রে খবর, তিনি ভারতী ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত ছিলেন। মেদিনীপুরে এসেও পুলিশের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতেন। ভারতী ঘোষের পাশেই দেখা যেত তাঁকে। বদলির নির্দেশের কথা মানছেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। জেলা পুলিশ সুপার বলছেন, “এটা রুটিন বদলি।”
আর কার কার বদলির নির্দেশ হয়েছে? জেলা পুলিশের এক সূত্রে খবর, সবং থানার ওসি পদে রদবদল হয়েছে। সবংয়ের ওসি ছিলেন বিশ্বরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বরঞ্জনবাবু খড়্গপুরের (লোকাল) ওসি হয়েছেন। সবংয়ের ওসি হয়েছেন অমিত অধিকারী। অমিতবাবু শালবনি থানায় ছিলেন। এক সময় অমিতবাবু পিংলা-সহ একাধিক থানার ওসি-র দায়িত্ব সামলেছেন। পুলিশের একটি মহলের দাবি, তিনি ভারতী ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন না। তাই তাঁকে ওসি-র পদ থেকে সরানো হয়েছিল। সুকোমল ঘোষ খড়্গপুরে (টাউন) ছিলেন। তিনি খড়্গপুর (ওল্ড) টাউন আউট পোস্ট-এর (টিওপি) ইনচার্জ হয়েছেন। স্বরাজ রায়চৌধুরী খড়্গপুরে (টাউন) ছিলেন। তিনি খড়্গপুরের (খরিদা) টাউন আউট পোস্ট-এর (টিওপি) ইনচার্জ হয়েছেন।
জেলা পুলিশ সুপারের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই গড়বেতার ওসি হীরক বিশ্বাসকে মেদিনীপুর পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ’ করেছিলেন অলোক রাজোরিয়া। পুলিশের এক সূত্রে খবর, হীরকবাবু ভারতী ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত ছিলেন। এরপরে দীর্ঘদিন খড়্গপুরের এসডিপিও থাকা সন্তোষ মণ্ডলেরও বদলি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। বদলির আগে সন্তোষবাবু ঝাড়গ্রামের ডিএসপি (ডিইবি) ছিলেন। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির ডিএসপি (সার্কিট বেঞ্চ) করা হয় তাঁকে।
বুধবারই মেদিনীপুরে এসেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থ। পুলিশের এক সূত্রে খবর, মেদিনীপুরে ডিজি-র বৈঠকে ভারতী প্রসঙ্গ উহ্যই ছিল। ইতিমধ্যে নবান্ন-র নির্দেশে রদ হয়েছে ভারতী-জমানার বদলিও।
বদলির মাস খানেক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৮৯ জন পুলিশকর্মীকে বদলি করেছিলেন ভারতী ঘোষ। নবান্ন-র নির্দেশে ওই ৮৯জনকে ফের তাঁদের পুরনো জায়গায় ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। সেই নির্দেশ কার্যকরও হয়ে গিয়েছে। জেলার এক পুলিশ অফিসার বলছিলেন, “এই সময়টাই অন্য রকম। কার উপর কখন কোপ পড়বে কেউ বলতে পারবে না!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy