প্রতীকী ছবি।
পাঁশকুড়ার প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান তথা এবার পুরভোটে কংগ্রেস প্রার্থী আশুতোষ চক্রবর্তীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ দায়ের করার পরেও পাঁশকুড়া থানার পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা। পুরভোটের আগেই বিরোধী দলের প্রার্থীর উপর এহেন আক্রমণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে শাসক ও বিরোধী দলের চাপান উতোর শুরু হয়েছে।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আশুতোষবাবুর বাড়ি পাঁশকুড়া শহরের ষ্টেশন বাজারের কাছে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। ২০০৭ সালে পুরসভার ভোটে জিতে তৃণমূল ও কংগ্রেস জোটের পুরবোর্ডের উপ-পুরপ্রধান হয়েছিলেন তিনি। এ বার পুরনির্বাচনে তিনি ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেস-বাম জোটের প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর সহিদুল খান। সহিদুল পাঁশকুড়ার বিদায়ী পুরপ্রধান জাকিঊর রহমান খানের ভাই।
আশুতোষবাবুর অভিযোগ, ‘‘প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তা প্রত্যাহার করতে তৃণমূলের একাংশ আমাকে চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ১২-১৪ জন লোক তৃণমূলের সমর্থনে স্লোগান দিতে দিতে এসে বাড়ির দরজায় লাথি মারতে থাকে। গালিগালাজ ও আমাকে হুমকি দিতে থাকে।’’ তিনি জানান, হামলাকারীরা বাড়ির দরজায় লাথি মারে। ইটপাটকেল ছুড়ে জানালার কাচ ভেঙে দেয়। পুলিশকে জানালে তারা আসার আগেই হামলাকারীরা পালায়।
আশুতোষবাবুর বাড়িতে হামলার ঘটনায় তাঁদের দলের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা জাইদুল খান। তিনি বলেন, ‘‘আশুতোষবাবুর বাড়িতে কোনও হামলা হয়নি। এখানে কংগ্রেস-সহ বিরোধীদলের প্রার্থীরা জনসমর্থন হারিয়ে প্রচার চালানোর মতো অবস্থায় নেই। এটা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে প্রচার পাওয়ার চেষ্টা ছাড়া কিছু নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy