পুরোদমে চলছে আবাস প্রকল্পে বাড়ি তৈরি। অথচ এখনই বালি নিয়ে হাহাকার দেখা দিয়েছে গড়বেতা ও তার আশেপাশের এলাকায়। এখন সর্বোচ্চ চাহিদা থাকলেও বালির জোগান নেই কেন, উঠছে প্রশ্ন। খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা। যদিও বালি খাদান খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
একসময় বালি গড় হিসাবে পরিচিত ছিল গড়বেতা। বর্ষাকালের কয়েকমাস বাদ দিলে সারা বছরই বালি পাওয়া যেত। দামও থাকত মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও বাইরেও গাড়ি গাড়ি বালি পাঠাতেন কারবারিরা। তখন বালি নিয়ে অভিযোগও উঠত বিস্তর। সে সব অতীত। এই শীতেও বালি নেই গড়বেতায়। খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, গড়বেতা ও তার আশেপাশের এলাকায় শিলাবতী নদী অববাহিকায় একটিও বালি খাদান চালু নেই। নতুন করে টেন্ডার না হওয়ায় বালি কারবারিরা খাদান খুলতে পারছেন না। কেন? বালির খুচরো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনের যুক্তি, বর্ষাকালীন বন্ধের পর খাদান গুলি থেকে যথেচ্ছাচার বালি তোলার ফলে নদীতেই বালির জোগান কমেছে, তাই আপাতত 'স্যান্ড ব্লক' বা বালি খাদান খোলার অনুমতি নেই প্রশাসনের। আবার বালির মূল কারবারিরা বলছেন, অনলাইনে বিশেষ পোর্টালের মাধ্যমে ই - অকশন করে বালির বরাত দেওয়া হয়, সেই পোর্টাল দীর্ঘদিন বন্ধ, অকশন বা টেন্ডার কিছুই হয়নি, তার ফলে ইচ্ছে থাকলেও নিয়মের গেরোয় খাদান খোলার বরাত কেউ পাচ্ছেন না। এর ফলে আবাসের বাড়ি নির্মাণের সময় চাহিদা থাকা সত্বেও, বালি পাচ্ছেন না উপভোক্তারা। বাড়ির কাজে তাঁরা কোথাও বস্তায় ভরে বালি আনছেন, তো কেউ বেশি টাকা ট্রাক্টর ভাড়া দিয়ে বাঁকুড়া বা ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে বালি আনছেন। অনেকে বালির অভাবে বাড়ির কাজই শুরু করতে পারছেন না। পরিস্থিতি বুঝে কয়েকদিন আগে শিলাবতী নদী পার্শ্বস্থ এলাকার বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে যাতে দ্রুত বালি পাওয়া যায় তার জন্য আবেদন করেছেন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গড়বেতা এলাকায় ৪ টি বালি ঘাটের অকশন হয়েছে, আশাকরি কিছুদিনের মধ্যেই বালির জোগান স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)