বিক্ষোভ: ডাকঘরের সামনে গ্রাহকরা। নিজস্ব চিত্র
দূরে চিঠি পাঠাতে রেজিস্ট্রি করা যায় না। জমা টাকা তুলতে এলেও হয়রান হতে হয়। এমনই অভিযোগ তুলে নন্দকুমার উপ-ডাকঘরের দরজায় তালা মেরে কর্মীদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রাহকেরা। বৃহস্পতিবার সকালে নন্দকুমার বাজারের ঘটনা।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ডাকঘরের সামনে জড়ো হয়ে গ্রাহকরা দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় ভারপ্রাপ্ত পোষ্টমাষ্টার ডাকঘরে ঢুকতে বাধা পান বলে অভিযোগ। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলার পর নন্দকুমার থানার পুলিশ গিয়ে সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনায় বসার আশ্বাস দেন। এরপর উপ-ডাকঘরের তালা খুলে দেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের একজন অপূর্ব জানার অভিযোগ, ‘‘নন্দকুমার বাজার এলাকায় এই উপ-ডাকঘরের উপর কয়েক হাজার মানুষ নির্ভর করেন। কিন্তু এখানে নানা সমস্যা রয়েছে। দূরে চিঠি পাঠানোর জন্য ডাকঘরে এসে রেজিস্ট্রি ডাকে তা পাঠানো যায় না। কারণ ডাক-কর্মীরা বলেন এখানে চিঠি রেজিস্ট্রি করা যাবে না। ফলে ১০ কিলোমিটার দূরে তমলুক শহরে যেতে হয়। গত কয়েক মাস ধরেই এমন পরিস্থিতি চলছে।’’ আর এক গ্রাহক চিত্তরঞ্জন মাইতির অভিযোগ, মেয়াদী আমানতের টাকা তোলার জন্য এলেও সময়মত টাকা পাওয়া যায় না। কয়েকবার ঘোরার পর টাকা দেওয়া হয়। ফলে সময় নষ্টের পাশাপাশি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। এ নিয়ে বারবার অভিযোগ জানালেও সুরাহা হয়নি।
ডাকঘর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই উপ-ডাকঘরে একজন পোষ্টমাষ্টার, দু’জন পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট (পিএ) এবং তিনজন পিওন থাকার কথা। কিন্তু ডাকঘরের পোষ্টমাস্টার অসুস্থতার জন্য ছুটিতে থাকায় একজন ভারপ্রাপ্ত পোষ্টমাষ্টার, একজন পিয়ন ও একজন প্যাকার ও একজন সুইপার মিলিয়ে মাত্র চারজন কর্মী রয়েছেন। ফলে গ্রাহকদের যথাযথ পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানান এক ডাককর্মী। যদিও গ্রাহকদের অভিযোগ উড়িয়ে ভারপ্রাপ্ত পোষ্টমাষ্টার কিশোর অধিকারী বলেন, ‘‘পোষ্টঅফিসে কিছু যান্ত্রিক সমস্যা থাকায় কাজের অসুবিধা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। গ্রাহকদের অভিযোগ ঠিক নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy