তালাবন্ধ বার অ্যাসোসিয়েশনের অফিস। ছবি: সোহম গুহ।
ঠিক সময় আদালতে যেতে পারবেন কি না, সন্দেহটা ছিল সকাল থেকেই। শুক্রবারই দেওয়ানি মামলার দিন থাকায় কিছুটা বিড়ম্বনাতেই পডে়ছিলেন রামনগরের সুবোধ প্রধান। হাতে কিছুটা সময় নিয়ে ভোরেই বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। সকাল সাতটার মধ্যেই পৌঁছে গেলেন আদালতে। বাকি সময়টা আদালত চত্বরে গাছতলায় বসেই অপেক্ষা করলেন তিনি।
সময় গড়ালেও কারও দেখা মিলল না। আদালতের এক কর্মীর থেকে তিনি জানতে পারলেন, শুক্রবার আদালত খোলা থাকলেও আইনজীবীরা কোনও কাজ করবেন না। কারণ জিজ্ঞাসা করতে ওই কর্মী বলেন, ‘‘ধর্মঘটের দিন মামলার বাদী ও বিবাদীদের দূরদূরান্ত থেকে আসতে অসুবিধা হয়। তাই মক্কেলদের স্বার্থেই যে কোনও ধর্মঘটের দিন আদালতে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দু’টি বার অ্যাসোসিয়েশন।’’
‘মক্কেলদের স্বার্থে আইনজীবীদের এই সিদ্ধান্তটা মক্কেলরাই জানতে পারল না। আগে জানতে পারলে আমাকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।’ গজরাতে গজরাতে আদালত চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যান সুবোধবাবু। শুধু সুবোধবাবু নন, অনেকেই এ দিন না জেনে সকাল সকাল আদাতে হাজির হন। কোনও কাজ না হওয়ায় তাঁদের ফিরে যেতেও হয়।
কাঁথি মহকুমার অন্যত্র ধর্মঘটের সে ভাবে কোনও প্রভাব পড়েনি। অফিস, স্কুল-কলেজ খোলা ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy