অসমাপ্ত: অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে প্রেক্ষাগৃহ। নিজস্ব চিত্র
চোদ্দো বছরেও সম্পূর্ণ হল না প্রেক্ষাগৃহ তৈরির কাজ। ২০০৩ সালে নারায়ণগড়ে বেলদায় ব্লক অফিসের পাশে শুরু হয়েছিল প্রেক্ষাগৃহ তৈরির কাজ। সেই কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। হতাশ বেলদার বাসিন্দারা।
বেলদা অ্যাথলেটিক ক্লাবের জায়গায় প্রেক্ষাগৃহ তৈরির জন্য দু’কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছিল। প্রেক্ষাগৃহ তৈরিতে এলাকার তৎকালীন সাংসদ দু’দফায় ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। অর্থ বরাদ্দ করে নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতিও। ২০০৬ সালের বিধানসভা ভোটের সময় বেলদা শহর নারায়ণগড় বিধানসভার অন্তর্ভূক্ত হয়। নারায়ণগড়ের তৎকালীন বিধায়ক সূর্যকান্ত মিশ্র প্রেক্ষাগৃহ তৈরির জন্য ১৬ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দেন। তারপরেও প্রেক্ষাগৃহের কাজ অসম্পূর্ণই থেকে যায়।
রাজ্যে পালাবদলের পরও প্রেক্ষাগৃহের কাজ সে ভাবে এগোয়নি। ‘ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্র্যান্ড ফান্ড’ (বিআরজিএফ) থেকে প্রেক্ষাগৃহ তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়। ওই টাকা দিয়ে কিছু কাজ হয়। যদিও এখনও প্রেক্ষাগৃহের জানলা, দরজার কাজ বাকি। বি্দ্যুৎ সংযোগ, মিউজিক সিস্টেম, আলোকসজ্জা-সহ অনেক কাজও বাকি রয়েছে। বেলদার বাসিন্দা রণজিৎ বেরা বলেন, ‘‘ছোট ব্লক হয়েও কেশিয়াড়ি ও দাঁতনে প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হয়ে গেল। অথচ জেলার গুরুত্বপূর্ণ নারায়ণগড় ব্লকে ১৪ বছরেও একটা প্রেক্ষাগৃহের কাজ শেষ হল না। এটা আমাদের কাছে খুবই লজ্জার বিষয়।’’
প্রেক্ষাগৃহের কাজ শেষ করতে বর্তমান সরকার উদ্যোগী হচ্ছে না কেন? নারায়ণগড়ের বিধায়ক প্রদ্যোত ঘোষ বলেন, ‘‘প্রেক্ষাগৃহের কাজ সম্পূর্ণ করতে এখনও প্রায় ২ কোটি টাকা প্রয়োজন। এ বিষয়ে ‘পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ’-এর সঙ্গে আলোচনা চলছে। সাহায্য পেলে কাজ
শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy