মেদিনীপুর মেডিক্যালে অাঁটোসাঁটো নিরাপত্তা। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
নিরাপত্তা ঢেলে সাজার কাজ শুরু হচ্ছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রধান দাবিই ছিল নিরাপত্তা বাড়ানো। সূত্রের খবর, এখন যা নিরাপত্তা রয়েছে তার দ্বিগুণের বেশি নিরাপত্তা বাড়তে চলেছে এখানে।
মঙ্গলবার হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক হয়। সেখানে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, হাসপাতালের নিরাপত্তায় ১৯ জন পুলিশকর্মী যুক্ত ছিলেন। সেই সংখ্যাটা বেড়ে ৪৪ জন হবে। হাসপাতালে ৫৭ জন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী যেমন রয়েছে তেমনই থাকবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘হাসপাতালের নিরাপত্তায় পুলিশের নজর রয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিরাপত্তা বাড়ানোও হয়েছে।’’ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু মানছেন, ‘‘হাসপাতালে পুলিশি নিরাপত্তা বেড়েছে।’’
পুলিশের এক সূত্রে খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন যখন চলছে, তখনই মেদিনীপুর মেডিক্যালের পুলিশি নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা হয়। হাসপাতালের কোথায় কোথায় পুলিশ মোতায়েন রাখা প্রয়োজন সেটা খতিয়ে দেখা হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যালে ৫৬০টি শয্যা রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৭৫০- এরও বেশি রোগী ভর্তি থাকেন এখানে। হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প আগে থেকেই রয়েছে। সেই ক্যাম্পের ‘পরিসর’ এ বার আরও বাড়ছে। এছাড়া হাসপাতাল চত্বরে নতুন করে পুলিশি সহায়তা কেন্দ্রও খোলা হচ্ছে। বিধান ব্লকের সামনে এই কেন্দ্র হচ্ছে। এখানে সব সময়ে পুলিশকর্মী থাকবেন। হাসপাতালে দু'টি ভবন রয়েছে। পুলিশের এক সূত্রে খবর, নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে গিয়ে দু’টি ভবনের প্রধান গেটগুলোর নিরাপত্তায় সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।
এক সূত্রের খবর, নতুন ভবনের মেন গেটের নিরাপত্তায় ও পুরনো ভবনের (বিধান ব্লক) মেন গেটের নিরাপত্তায় ৬ জন করে পুলিশকর্মী থাকবেন। জরুরি বিভাগের সামনে নজরদারির কাজেও ৬ জন থাকবেন। নতুন ভবনের বাইরে নজরদারির সঙ্গে যুক্ত থাকবেন ৩ জন। ‘মাদার এণ্ড চাইল্ড হাবে’র বাইরে নজরদারি করবেন ৩ জন, পুলিশি সহায়তা কেন্দ্রে থাকবেন ৬ জন, বহির্বিভাগের সামনে নজরদারির কাজে যুক্ত থাকবেন ৬ জন, রাতে বিশেষ নজরদারিতে থাকবেন ২ জন পুলিশকর্মী। পাশাপাশি, ৬ জন সাদা পোশাকের পুলিশকর্মীও মোতায়েন থাকবে মেডিক্যাল চত্বরে।
মেদিনীপুর মেডিক্যালের ছাত্র সংসদের সভাপতি নাজির হাসান বলেন, ‘‘নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোর উন্নতি হলে হাসপাতালে নিগ্রহের ঘটনা কমবে। মেডিক্যালে স্থায়ী পুলিশ আউটপোস্টের দাবিও আমাদের ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy