Advertisement
E-Paper

তৃণমূলের পতাকা ‘ছেঁড়ায়’ স্ত্রীকে ‘মারধর’

খড়্গপুর-২ ব্লকের চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের পানাছত্র গ্রামে সিপিএম বরাবর শক্তিশালী। গত ভোটে ১৬টি আসনের ১২টিতে জয়ী হয়ে পঞ্চায়েত দখল করে সিপিএম। মাস ছ’য়েক আগে সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য কনিকা দুয়ারির স্বামী বাণেশ্বর দুয়ারি তৃণমূলে যোগ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৮ ০২:৫১

স্বামী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য স্ত্রী সিপিএম কর্মী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাড়ির সামনে স্বামীর লাগানো তৃণমূলের দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল কর্মীদের দিয়ে স্ত্রীকে পাল্টা মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা চাপা দিতেই তৃণমূলের কর্মীরা দলের পতাকা ছিঁড়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে বলে অভিযোগ স্ত্রীর।

খড়্গপুর-২ ব্লকের চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের পানাছত্র গ্রামে সিপিএম বরাবর শক্তিশালী। গত ভোটে ১৬টি আসনের ১২টিতে জয়ী হয়ে পঞ্চায়েত দখল করে সিপিএম। মাস ছ’য়েক আগে সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য কনিকা দুয়ারির স্বামী বাণেশ্বর দুয়ারি তৃণমূলে যোগ দেন। তবে সিপিএম ছাড়তে নারাজ কণিকা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এ নিয়ে দু’জনের অশান্তি লেগেই থাকত।

দিন কয়েক আগে বাণেশ্বর বাড়ির সামনে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়েছিলেন। কণিকা তৃণমূলের পতাকা লাগানোর বিরোধিতা করেন বলে অভিযোগ। এ দিন সকালে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’জনের ফের অশান্তি শুরু হয়। সেই সময় কণিকা তৃণমূলের পতাকা ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ। বাণেশ্বরের অভিযোগ, “আমার স্ত্রী আমাকে সহ্য করতে পারেন না। আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। বাড়ির সামনে তৃণমূলের দলীয় পতাকা লাগিয়েছিলাম। আমার স্ত্রী সেগুলিও ছিঁড়ে দিয়েছে।”

কণিকার পাল্টা অভিযোগ, “সকালে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি হচ্ছিল। সেই সময় তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীরা বাড়িতে ঢুকে আমাকে মারধর করে। তার পরে এমন ঘটনা চাপা দিতে আমাকে ফাঁসাতে নিজেরাই নিজেদের দলের পতাকা ছিঁড়েছে। আমি থানায় এসেছি।” কণিকার দাবি, “সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে এলাকার উন্নয়নের কাজ করি বলে স্বামী সহ্য করতে পারেনা। স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূলের কর্মীর ইন্ধনে আমার ওপর ও অত্যাচার করে। আমি থানায় বারবার জানিয়েছি। তার পরেও সুফল পাইনি।” এ দিন একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে খড়্গপুর গ্রামীণ থানায় যান বাণেশ্বর ও কণিকা। পরে দু’পক্ষের অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ শোনার পর দীর্ঘক্ষণ আলোচনার মাধ্যমে ঘটনার মীমাংসা হয়।

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তৃষিত মাইতির অভিযোগ, “স্বামী আমাদের দলে যোগ দেওয়ায় সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য স্ত্রী সহ্য করতে পারেন না। তাই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান চন্দন চক্রবর্তীর মদতে দলের পতাকা ছিঁড়ে উনি মুখ্যমন্ত্রীর নামে গালমন্দ করেছেন।”

যদিও সিপিএম পরিচালিত চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চন্দনবাবু বলছেন, “স্বামী-স্ত্রীর অশান্তির মাঝে বাড়িতে তৃণমূলের লোক ঢুকে আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধর করেছে। এমন ঘটনাকে চাপা দিতে তৃণমূল পতাকা ছেঁড়ার মিথ্যা অভিযোগ করছে।”

West Bengal Panchayat Election 2018 TMC West Bengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy