ভারত এবং নিউ জ়িল্যান্ডের মধ্যে অবাধ বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শেষ হয়েছে। তবে দুগ্ধজাত পণ্যের জন্য ভারত দরজা না খোলায় তুষ্ট নয় সে দেশের রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উপদেষ্টা সংস্থা জিটিআরআই-এর বক্তব্য, কৃষি, পেট্রলিয়াম, ওষুধ, পোশাক, বৈদ্যুতিন এবং গাড়ি ক্ষেত্রে ভারতের সংস্থাগুলির রফতানির সুযোগ বাড়তে চলেছে। তবে এই সুবিধা একমুখী নয়। তা আমদানিতে চিন নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করবে ওশয়ানিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটিকেও।
রফতানি বাড়াতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি করছে ভারত। সম্প্রতি ওমানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। নিউ জ়িল্যান্ডের সঙ্গে শেষ হয়েছে কথাবার্তা। তবে কোনও দেশকেই কৃষি, মৎস্য ও দুগ্ধজাত পণ্যের ক্ষেত্রে সুবিধা দিচ্ছে না নয়াদিল্লি। কিন্তু নিউ জ়িল্যান্ড যে সব ক্ষেত্রে শক্তিশালী, সেগুলির মধ্যে দুগ্ধজাত পণ্য অন্যতম। ফলে চুক্তির শর্ত ঘিরে আপত্তি তুলেছে সে দেশের শাসক জোটের শরিক দল। তাই কবে সেটি কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, সে কারণেই চুক্তি হলে নিউ জ়িল্যান্ড কী সুবিধা পাবে, তার ব্যাখ্যা দিচ্ছে জিটিআরআই।
জিটিআরআই-এর প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তবের বক্তব্য, আরও যে সমস্ত ক্ষেত্রে দুই দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে তার মধ্যে আছে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, কৃষিভিত্তিক পণ্য, বস্ত্র ও পোশাক, প্লাস্টিক, রাবার, ভোগ্যপণ্য, বৈদ্যুতিক, বৈদ্যুতিন, আসবাবপত্র, আলো প্রভৃতি।
নিউ জ়িল্যান্ডের সঙ্গে এই চুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমেছে মোদী সরকার। এক বিবৃতিতে বাণিজ্যমন্ত্রী গয়ালের বার্তা, এর ফলে বাড়বে কাজের সুযোগ। হবে বিনিয়োগের প্রসার। দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, পড়ুয়া, কৃষক, মহিলা ও তরুণ প্রজন্মের সামনে খুলবে সম্ভাবনার দরজা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)