Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

নজরে নীচুতলায় বিজেপির শ্রীবৃদ্ধি

সবং বিধানসভা উপনির্বাচনে ইঙ্গিত মিলেছিল, জেলায় গেরুয়া শিবিরের ভোট ক্রমশ বাড়ছে। এ বার পঞ্চায়েত ভোটেও বিরোধীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রয়েছে বিজেপির।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

ফের ‘ফার্স্ট বয়’ হতে চায় তৃণমূল। সেই ২০১৩- এর মতো। কিন্তু ‘ফার্স্ট’ হলেই কি চিন্তা যাবে! কারণ, পঞ্চায়েত ভোট কাটতে না কাটতেই তো চলে আসবে লোকসভা ভোট। আর একসময়ের বামেদের শক্তঘাঁটি পশ্চিম মেদিনীপুরে ইতিমধ্যে ‘প্রভাব’ বাড়াতে শুরু করেছে বিজেপি।

সবং বিধানসভা উপনির্বাচনে ইঙ্গিত মিলেছিল, জেলায় গেরুয়া শিবিরের ভোট ক্রমশ বাড়ছে। এ বার পঞ্চায়েত ভোটেও বিরোধীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রয়েছে বিজেপির। শাসক দলের একাংশও মানছে, বামেদের পিছনে ফেলে জেলায় ধীরে ধীরে প্রধান বিরোধী দলের জায়গা করে নিচ্ছে বিজেপি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি প্রকাশ্যে অবশ্য দাবি করছেন, “বিজেপি কোনও ফ্যাক্টর নয়!” তবে তাঁকে এ-ও বলতে হচ্ছে, “কোথায় গেলেন বামপন্থীরা? ওদের না কি কত বড় সংগঠন। সব সংগঠক কি বিজেপিতে চলে গেলেন!”

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা পরিষদের ৬৭টি আসনের মধ্যে ৬৪টি, ২৯টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ২৮টিই তৃণমূল দখল করে। সেদিন শাসক দলের নেতৃত্বকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘আমরা ছিলাম লাস্ট বয়। হয়ে গেলাম ফাস্ট বয়!” ওই ফল ধরে রাখা এ বার চ্যালেঞ্জ শাসকের। তৃণমূলের দাবি, এই সময়ের মধ্যে প্রচুর কাজ হয়েছে। উন্নয়নের নিরিখেই মানুষ ভোট দেবেন। বিজেপির দাবি, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তৃণমূলকে কঠিন লড়াইয়ের মধ্যে পড়তে হবে। শাসক দলের একাংশ মানছে, কেশিয়াড়ি, গোয়ালতোড়ের মতো কিছু এলাকায় দলের ভিত আলগা হয়েছে। ফলে, সব আসনে জেতা কঠিনই।

পশ্চিম মেদিনীপুর

• মোট আসন: জেলা পরিষদে ৫১, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৬১১, গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩,০৪০

• মোট প্রার্থী: ৮,২৭৬ জেলা পরিষদে ২১৩, পঞ্চায়েত সমিতিতে ১,৫৪৬, গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬,৫১৭

• বুথ: ৩,৭৩০

• ভোটকর্মী: প্রায় ২২ হাজার

• নিরাপত্তারক্ষী: প্রায় ১০ হাজার। এর মধ্যে পুলিশকর্মী প্রায় ৫ হাজার, সিভিক ভলান্টিয়ার প্রায় ৫ হাজার

• কন্ট্রোল রুম: ০৩২২২- ২৭৫৩১৪, ২৭৬৭৬৮

শাসকের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন গোঁজ এবং নির্দল প্রার্থীরা। জেলায় প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি আসনে গোঁজ- নির্দল প্রার্থী রয়েছে তৃণমূলের। পরিসংখ্যান বলছে, জেলা পরিষদে ৩টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৮৭টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩৪৭টি আসনে গোঁজ প্রার্থী রয়েছেন। আবার জেলা পরিষদে ৪টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৭২টি আসনে এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৬৫টি আসনে নির্দল প্রার্থী রয়েছে। টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে ভোটে লড়ার প্রবণতা পঞ্চায়েতে ভোট নতুন কিছু নয়। নির্বাচন পর্ব মেটার পর ফের দলে ফিরে আসার ঘটনাও ঘটে হামেশাই। তবু উদ্বেগ কাটছে না। কারণ, রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, পঞ্চায়েতে বিজেপির ভোট আরও বাড়লে লোকসভা ভোটে তা তাদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE