Advertisement
০১ মে ২০২৪

শেষ প্রচারেও অশান্তির ছায়া

শনিবার সবংয়ের বাদলপুরে তৃণমূলের প্রচার মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। এরপরেই ওই এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হাজিরা বিবি-সহ তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা থানায় এসে অবস্থান শুরু করে।

রূপনারায়ণের ধারে একশো দিনের কাজের ফাঁকেই কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতা সিপিএম প্রার্থীর। দাসপুরের উত্তরবাড়ে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল ও কৌশিক সাঁতরা

রূপনারায়ণের ধারে একশো দিনের কাজের ফাঁকেই কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতা সিপিএম প্রার্থীর। দাসপুরের উত্তরবাড়ে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল ও কৌশিক সাঁতরা

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৮ ০০:৪৪
Share: Save:

ভোটপর্বের শুরু থেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে সরব হল শাসক-বিরোধী শিবির। নির্বিঘ্ন হল না শেষ বেলার প্রচারও।

শনিবার সবংয়ের বাদলপুরে তৃণমূলের প্রচার মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। এরপরেই ওই এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হাজিরা বিবি-সহ তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা থানায় এসে অবস্থান শুরু করে। অভিযোগ, এ দিন হাজিরা বিবি প্রচার করার সময় কয়েকজন যুবক এসে তাঁকে বাধা দেয়। তার পরেই শুরু হয় গোলমাল। হাজিরা বিবির অভিযোগ, “সিপিএমের ওই এলাকার নেতা মাধব ওঝার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে থানায় অবস্থানে বসেছি।” যদিও এ নিয়ে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য চন্দন গুছাইত বলেন, “ওদের নিজেদের মধ্যে লড়াইকে ধামাচাপা দিতে সিপিএমের নামে দোষ চাপানো হচ্ছে।”

শেষবেলার প্রচারে বেরিয়ে চাউলকুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সুন্দরপুর বুথে সিপিএম কর্মী অরবিন্দ কর-সহ পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। সিপিএমের নেতা চন্দন গুছাইত বলেন, “আমাদের বাড়ি-বাড়ি প্রচার চলছিল। সেই সময়ে তৃণমূলের কর্মীরা এসে আমাদের কর্মীদের ওপর চড়াও হয়।” যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলভেড়ি গ্রামে দলের বিক্ষুব্ধ নির্দলদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির নির্দল প্রার্থী সুশান্ত বর্মন বলেন, “আমাদের বাড়ি-বাড়ি প্রচার চলছিল। গুরুপদ মান্নার নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকেরা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করে।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গুরুপদ মান্না বলেন, ‘‘ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।”

জেলার অন্যত্র অবশ্য শনিবার প্রচার মিটেছে নির্বিঘ্নেই। দাসপুর-২ ব্লকের খেপুত পঞ্চায়েতের উত্তরবাড় বুথের সিপিএম প্রার্থী হাসিনুর রহমান এ দিন ভোরে সটান পৌঁছে গিয়েছিলেন গোপিগঞ্জ আনাজ বাজারে। খেপুত বাজারে গিয়ে আনাজ বিক্রেতা-ক্রেতাদের সঙ্গে গল্পে মেতে যান। ভোট দেওয়ার আর্জি জানিয়ে ঘাটাল ব্লকের বীরসিংহ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সমর্থিত জেলা পরিষদের প্রার্থী জয়ন্তী বিশুইকে বলতে শোনা যায়, ‘গরমের হাত থেকে বাঁচতে সকাল সকাল রান্না সেরে নিন। খাওয়ার সময় একবার গরম করে নিলেই চলবে।

দাসপুরের খুকুড়দহ পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী শুভ্রকান্তি মান্না শনিবার প্রচারের সিংহভাগ সময়ই কাটান এলাকার চা দোকানগুলিতে। প্রচারের শেষ দিনে গ্রামের শীতলা পুজোতেই কাটালেন ঘাটাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী দিলীপ মাঝি। শেষবেলার প্রচারে ঝড় ওঠে মেদিনীপুর, শালবনি, কেশপুরেও। দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে মেদিনীপুর গ্রামীণের চাঁদড়া, শালবনির দেবগ্রামে সভা করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তৃণমূলকে বিঁধে বিজেপি নেতার কটাক্ষ, “৩৪ শতাংশ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা যায় এর আগে কখনও কেউ ভাবতে পারেননি।”

ঝাড়গ্রামে শেষদিনের প্রচারে হেভিওয়েট কেউ আসেননি। তবে ঝুমুর গান থেকে মিছিল— বিভিন্নভাবে এ দিন প্রচার চলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE