ঝাড়গ্রাম পুরসভার উদ্যোগে পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর জন্মজয়ন্তী পালন। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
অলচিকি লিপির জনক পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর ১১১ তম জন্মজয়ন্তী সাড়ম্বরে পালিত হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। মঙ্গলবার পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন হয় শালবনিতে। মঙ্গলবার এই উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ছিলেন বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নেপাল সিংহ প্রমুখ। এ দিন ছিল পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর জন্মজয়ন্তী। এই উপলক্ষে সকালে এলাকায় শোভাযাত্রা বেরোয়। পরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়। বহু আদিবাসী মানুষজন এতে যোগ দেন।
এ দিন সকালে ঝাড়গ্রাম শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর আবক্ষ মূর্তির সামনে ঝাড়গ্রাম পুরসভার উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রঘুনাথ মুর্মুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব, সাহিত্যিক অমৃত হাঁসদা, কুঁয়ার হেমব্রম প্রমুখ। অলচিকি-স্রষ্টার লেখা কবিতা পাঠ করেন বিশিষ্ট লেখিকা চিন্ময়ী মারাণ্ডি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সমাজসেবী শুকলাল সরেন।
তার আগে এ দিন গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘ এবং পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চের ঝাড়গ্রাম শহর শাখার যৌথ উদ্যোগে রঘুনাথ মুর্মুর আবক্ষ মূতির সামনে পৃথক একটি অনুষ্ঠানে অলচিকি স্রষ্টার জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চের জেলা সভাপতি রূপচাঁদ মুর্মু। ১৯০৫ সালের ৫ মে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার ডাহারডিহি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাঁওতালি দার্শনিক ও সাহিত্যিক পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু। তিনি সাঁওতাল সমাজে ‘গুরু গমকে’ নামে বেশি পরিচিত। ১৯৮২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রঘুনাথ মুর্মুর মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy