লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এখন বুথে বুথে শক্তি বৃদ্ধিই লক্ষ্য বিজেপি-র। তবে কিছুতেই কোন্দল সামলে উঠতে পারছে না গেরুয়া শিবির।
রবিবার ডেবরার রাধামোহনপুর হাইস্কুলের মাঠে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা কমিটির পক্ষ থেকে এক অভ্যন্তরীণ বৈঠক ডাকা হয়েছিল। ঘাটাল কেন্দ্রে রণকৌশল ঠিক করতেই এই বৈঠক। ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য প্রমুখ। এ দিনও ফের দলের কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। বৈঠকে যোগ দেননি প্রাক্তন জেলা সভাপতি রতন দত্ত ও তাঁর অনুগামীরা।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বে ভাঙন দেখা দেয়। জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় রতন দত্তকে। ওই পদে আসেন সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য। গত ২৫ জানুয়ারি মুকুল রায়ের সভা ঘিরেও বিরোধ বাধে। সভায় গরহাজির থাকায় রতন অনুগামী কয়েকজন নেতাকে পদ থেকে সরিয়ে দেন অন্তরা। রতন এ দিন বলেন, “সিপিএম থেকে এসে অন্তরা ভট্টাচার্য আদর্শের বাইরে বেরিয়ে দলকে চালাতে চাইছে। আমি জেলা কোর কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও এই বৈঠকে ডাকার সৌজন্য দেখাননি। সামান্য এসএমএসে দায় সেরেছেন। তাই যাইনি।’’ ১১৫০জন কর্মকর্তার মধ্যে মাত্র ৩৭০জন বৈঠকে গিয়েছেন বলে দাবি রতনের।
এ দিনের বৈঠকে নেতারা মূলত বুথ ভিত্তিক লিডে গুরুত্ব দিতে বলেছেন। একজন করে শক্তি প্রমুখকে ৪-৫টি করে বুথের দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে। যেখানে একজন শক্তি প্রমুখের দায়িত্বে ৭টির বেশি বুথ রয়েছে, সেখানে প্রয়োজনে অতিরিক্ত শক্তি প্রমুখ নিযুক্ত করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে বুথগুলিকেও কর্মীসংখ্যার ভিত্তিতে তিনটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরির বুথে ১০জনের বেশি, ‘বি’ ক্যাটাগরির বুথে ১০জন ও ‘সি’ ক্যাটাগরির বুথে ৫জন করে কর্মী থাকবেন। ভোটারদের বুথে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবেন এই বুথ কর্মীরা। অন্তরা এ দিন ফোন ধরেননি। তবো সায়ন্তন বলেন, “রতন দত্ত কী বলছেন আমি জানি না। তবে আমি বৈঠকে বলেছি, উত্তরপ্রদেশের আবহে এই রাজ্যে নির্বাচন হবে না। এখানে তাই শক্তি প্রমুখদের দিয়ে বুথস্তরকে মজবুত করতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy