মণ্ডল থেকে জেলা— প্রত্যেক স্তরেই বিজেপির সাংগঠনিক রদবদল ঘটেছে। পদে অধিকাংশ নতুন মুখ আসায় পূর্ব মেদিনীপুর জুড়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ছড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরে। সামনে আসছে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব। আর তা নিরসনেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, তথা বিজেপিতে নব্য শুভেন্দু অধিকারী দলের পুরনো নেতাদের বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা ও মণ্ডল স্তরের নেতৃত্বকে। লোকসভা ভোটের আগে বিরোধ ঘোচাতেই শুভেন্দুর এই নিদান, মত রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের।
মঙ্গলবার জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্র, কাঁথি ও তমলুকের নেতাদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। তমলুকের নিমতৌড়িতে সাংগঠনিক জেলা কমিটির বর্ধিত বৈঠক এবং কাঁথিতে সাংগঠনিক জেলা কমিটির নতুন পদাধিকারীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন সভা হয়। সেখানেই শুভেন্দু দলের কর্মীদের পরামর্শ দেন যাতে আদি নেতারা দ্রুত রাজনীতির ময়দানে নামেন। সে জন্য বাড়ি গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। পদহারাদের সাংগঠনিক কাজকর্মে যুক্ত রাখার পরামর্শও দেন। মঙ্গলবার কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির বৈঠকে পদহারা কয়েকজন অনুপস্থিত ছিলেন। তবে শুভেন্দুর বার্তা, "কারও কোনও কারিকুরি চলবে না। এই মাটি খুব শক্ত মাটি।"
উৎসবের মরসুম ফুরোেই লোকসভা ভোট। তাকে পাখির চোখ করেই শুভেন্দু তাঁর নিজের জেলায় সাংগঠনিক ফাঁকফোঁকর ভরাট করতে চাইছেন বলে অনুমান। এ প্রসঙ্গে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডলের বক্তব্য, "দলের নতুন এবং পুরাতন কার্যকর্তাদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি আগামী লোকসভা ভোটের জন্য কী করণীয় তার দিক নির্দেশ করেছেন বিরোধী দলনেতা। পুরনোরা যাতে যোগ্য মর্যাদা পান, তা দেখতে সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।"
জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের উত্তম বারিকের খোঁচা, "যারা জেলায় এদের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজেপির জমি শক্ত করেছিলেন তারা এখন হাঁপিয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, অনেকেই যুক্ত হতে চেয়েছেন। তাই লোক দেখানো কথাবার্তা বলছেন বিরোধী দলনেতা।"
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)