Advertisement
E-Paper

খুদেদের সম্প্রীতির বার্তা

বড় কাঠের ফ্রেমে টান টান করে পুরনো ধুতি আটকে তৈরি করা হয় একটা বড় ক্যানভাস। আর সেই ক্যানভাস জুড়ে সম্প্রীতির ছবি আঁকল খুদেরা। শুক্রবার সকালে একটি হাতের কাজ শেখানোর সংস্থার উদ্যোগে ঝাড়গ্রামের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক কর্মশালার আয়োজন হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৪৬
পাখি উড়িয়ে শান্তির বার্তা।—নিজস্ব চিত্র

পাখি উড়িয়ে শান্তির বার্তা।—নিজস্ব চিত্র

বড় কাঠের ফ্রেমে টান টান করে পুরনো ধুতি আটকে তৈরি করা হয় একটা বড় ক্যানভাস। আর সেই ক্যানভাস জুড়ে সম্প্রীতির ছবি আঁকল খুদেরা। শুক্রবার সকালে একটি হাতের কাজ শেখানোর সংস্থার উদ্যোগে ঝাড়গ্রামের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক কর্মশালার আয়োজন হয়। খেলার ছলে অদেখা জিনিসকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার এই কর্মশালার নাম ‘নানা রঙের দিন’।

কর্মশালার শুরুতে নীলকণ্ঠ পাখির ধারণা দেওয়া হয় খুদেদের। শিল্পী রামেশ্বর সরেন, শ্রুতি শতপথী ও অনির্বাণ মিদ্যার তত্ত্বাবধানে সাদা কাগজ কেটে পড়ুয়াদের শেখানো হয় পাখি তৈরির কৌশল। তারপর সেই পাখির গায়ে মনের ভাবনায় নীল, কমলা, হলুদ রং করে খুদেরা। পাখি হাতে নিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে পড়ুয়ারা শোনায় ছড়া, আবৃত্তি আর উৎসবের গল্প। আবহে তখন আগমনী গানের সুর আর মৃদু ঢাকের বাদ্যি। অনুষ্ঠান চলার সময় ক্যানভাসে ছোটরা আঁকে মা দুগ্গার মুখ, ইদের চাঁদ আর সান্টাক্লজ।

ওই সংস্থার কর্ণধার চিত্রশিল্পী সৌরভ ধবলদেব বলেন, “আজকাল ছোটরা বই পড়ে না। আমরা বড়রাই টিভি আর ভিডিও গেম-এ ওদের ভাবনার জগতটা সীমাবদ্ধ করে দিচ্ছি। ভালবেসে ওরা ভাবতে শিখুক, সেই উদ্দেশেই প্রাথমিক স্কুলটির আমন্ত্রণে এমন আয়োজন।”

ওই বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিমিরকুমার মল্লিক এ দিন আবেদন করেন, “ছোটদের নিজের মতো করে বড় হতে দিন। অযথা ওদের প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে ঠেলে দেবেন না।” নিজেদের সৃষ্টি নীলকণ্ঠ পাখি হাতে নিয়ে ছোট্ট আয়ুষ, ঐশ্রী, পবনরা বলে, “যা উড়ে যা পাখি, শান্তিতে সব থাকি!”

Organization children
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy