একই দিনে, ১৮ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে তিন সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধার হল ঘাটালে।
বৃহস্পতিবার এমন ঘটনায় বিস্মিত পুলিশ প্রশাসনও। কোথা থেকে এল ওই তিনটি শিশুর দেহ, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন চন্দ্রকোনা রোডের শঙ্করকাঁটা পঞ্চায়েতের শহরবেড়িয়া গ্রামের একটি পরিত্যক্ত কুয়ো মধ্যে কাপড়ে মোড়া দু’টি শিশুর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পরে গড়বেতা থানার পুলিশ স্থানীয় মানুষের সাহায্যে কুয়ো থেকে শিশু দু’টির দেহ উদ্ধার করে। তাদের নিয়ে যাওয়া হয় দ্বারিগেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
এ দিনই প্রায় ওই একই সময়, গোয়ালতোড় থানার কেওয়াকোলের জঙ্গলে পাতা কুড়োতে গিয়ে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়ানো একটি শিশুর দেহ দেখতে পান স্থানীয় মহিলারা। খবর চাউর হতেই স্থানীয় মানুষ ভিড় জমান ওই জঙ্গলে। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় গোয়ালতোড় গ্রামীণ হাসপাতালে। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, তিনটি শিশুই পুত্র সন্তান এবং সকলেই জন্মেছিল নির্দিষ্ট সময়ের আগে।
কিন্তু তাদের মৃতদেহ কে বা কারা এ ভাবে ফেলে রেখে গেল? বিশেষত শহরবেড়িয়া গ্রামের কুয়োয় দু’টি শিশুর দেহ একসঙ্গে ফেলল কে? পুলিশ জানিয়েছে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “এখানে পাশাপাশি কোনও নার্সিংহোমও নেই। দু’টি হাসপাতালেই আমরা খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু শিশুগুলি কোথা থেকে এল তা নিয়ে আমরা চিন্তিত।’’ শঙ্করকাঁটা পঞ্চায়েতের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘সারা রাজ্যে যে ভাবে শিশু পাচার চক্রের হদিস মিলছে, তাতে আমাদেরও ভয় করছে। গ্রামে এ ভাবে দু’টি শিশুর মৃতদেহ পাওয়া গেল কেন, পুলিশ তদন্ত করুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy