পশ্চিম মেদিনীপুরের ১১ জন চাকরি প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও। এর আগে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি অশোক দাস অধিকারী রাজ্যের শিক্ষা শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বুধবার আপিল মামলা দায়ের করে রাজ্য।
ওই ১১ জন প্রার্থীর আইনজীবী এক্রামূল বারি এ দিন জানান, বিচারপতি দাস অধিকারী ওই জেলার প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের চেয়ারম্যানকে গত বছরের ৪ জুন নির্দেশ দিয়েছিলেন, ১১ জন শিক্ষকের একটি প্যানেল তৈরি করে স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারের অনুমোদনের জন্য পাঠাতে। ওই প্রার্থীরা এক বছরের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল দু’সপ্তাহের মধ্যে প্যানেল অনুমোদন করে চেয়ারম্যানের কাছে পাঠাতে। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ কমিশনার মানেননি। সেই কারণে কয়েকজন চলতি বছরের গোড়ায় তাঁর কয়েকজন মক্কেল শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপত্র না পেয়ে কমিশনারের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট অবমাননার মামলা দায়ের করেন।
এক্রামূলবাবু জানান, এ দিন রাজ্যের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল লক্ষ্মী গুপ্ত কমিশনারের দফতর থেকে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে পাঠানো একটি চিঠি দাখিল করেন। তাতে লেখা রয়েছে, কত শিক্ষকের পদ ওই জেলায় খালি রয়েছে তা চেয়ারম্যান জানাননি। এ-ও লেখা রয়েছে, ওই ১১ জনকে চাকরি দিতে হলে অন্য যে সব শিক্ষক ২০০৬ সালে চাকরি পেয়েছেন। তাঁদের চাকরি হারাতে হবে।
কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন জানিয়ে দেয়, আগে ওই ১১ জনকে চাকরি দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy