আগামী ১ জুলাই থেকে চালু হতে চলেছে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি)। এই জিএসটি আসলে কী, এ ক্ষেত্রে কর প্রদানের পদ্ধতিই বা কী— এমনই খুঁটিনাটি নানা বিষয় ব্যবসায়ীদের বোঝাতে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করবে ‘কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স’ (সিএআইটি)। সংগঠনের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর শাখার উদ্যোগে দুই জেলার ব্যবসায়ীদের জিএসটি নিয়ে বোঝাতেই এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এখন কোনও রাজ্যে পণ্য কিনে সেই রাজ্যেই বিক্রি কলে রাজ্যস্তরের কর প্রদান করতে হবে। আর এক রাজ্যে পণ্য কিনে অন্য রাজ্যে বিক্রি করতে চাইলে দিতে হয় আন্তঃরাজ্য শুল্ক। ফলে বিভিন্ন রাজ্যে একই সামগ্রীর দামে পার্থক্য হত। জিএসটি চালু হলে দেশের বিভিন্ন প্রাম্তে কোনও একটি সামগ্রীর দামে হেরফের হবে না বলেই আশা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, জিএসটি চালুর মাধ্যমে দেশের সব ব্যবসায়িক ক্ষেত্রকে একই সুতোয় বাঁধতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও জিএসটি নিয়ে নানা বিভ্রান্তিও রয়েছে। প্রশিক্ষণ শিবিরে প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে তা অনেকাংশেই দূর করা যাবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা।
জানা গিয়েছে, সংগঠনের অধীনে থাকা ১১১টি ইউনিটের উদ্যোগে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে দুই মেদিনীপুরে মোট ১২০টি সচেতনতা শিবির আয়োজিত হবে। প্রথমে হলদিয়া, খড়্গপুর, মেদিনীপুর, কাঁথি, পাঁশকুড়া, এগরা, ঝাড়গ্রাম, গড়বেতা, বেলদা-সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রগুলিতে শিবির হবে। ২৫ ফেব্রুয়ারি খড়্গপুরে প্রশিক্ষণ শিবিরের সূচনা হবে। বড়, মাঝারি এমনকী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন শিবিরে। ২০ লক্ষ টাকার কম লগ্নিকারী ব্যবসায়ী যাঁরা জিএসটি-র আওতায় থাকবেন না, তাঁরাও শিবিরে থাকতে পারবেন। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও ট্যালি সংস্থার প্রতিনিধিরাই প্রশিক্ষণ দেবেন। ব্যবসায়ী সংগঠনের দুই মেদিনীপুর জেলা শাখার সভাপতি আলো সিংহ বলেন, “সারা দেশে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু হতে চলেছে। সব ব্যবসায়ীকে অবগত করতেই প্রশিক্ষণ শিবিরের ভাবনা।” সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা জেলা সম্পাদক রাজা রায় বলেন, “প্রশিক্ষণ শিবিরে জিএসটি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ব্যবসায়ীদের সামনে তুলে ধরা হবে। কর ফাঁকি দিলে যে বিপদে পড়তে হবে জানানো হবে তাও।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy