Advertisement
E-Paper

গাছে ধাক্কা গাড়ির, জখম ১১ পড়ুয়া

এই ঘটনার জেরে খড়্গপুরে পুলকারের লাগামছাড়া দৌরাত্ম্য নিয়ে সরব হয়েছেন অভিভাবকেরা। অধিকাংশ অভিভাবকের অভিযোগ, বেশিরভাগ পুলকারে আসনের থেকে বেশি সংখ্যক পড়ুয়া গাদাগাদি করে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবারের দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম প্রথম শ্রেণির ছাত্র প্রিয়ম জানার মা সঙ্গীতা জানা বলেন, “সবসময় এই গাড়িগুলিতে অতিরিক্ত পড়ুয়া নিয়ে যাতায়াত চলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৭ ০৩:১৪
আহত: খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পড়ুয়ারা। —নিজস্ব চিত্র।

আহত: খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পড়ুয়ারা। —নিজস্ব চিত্র।

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলকার গাছে ধাক্কা মারায় জখম হলেন ১১ জন স্কুল পড়ুয়া। বুধবার সকালে খড়্গপুর গ্রামীণের শ্যামলপুরের কাছে খড়্গপুর-ওড়িশা রাজ্য সড়কে ঘটনাটি ঘটে। জখম অধিকাংশ পড়ুয়ার বাড়ি বেলদায়। জখম হয়েছেন গাড়ির চালকও। জখমদের প্রথমে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে তিন পড়ুয়ার অবস্থা গুরুতর থাকায় তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

এই ঘটনার জেরে খড়্গপুরে পুলকারের লাগামছাড়া দৌরাত্ম্য নিয়ে সরব হয়েছেন অভিভাবকেরা। অধিকাংশ অভিভাবকের অভিযোগ, বেশিরভাগ পুলকারে আসনের থেকে বেশি সংখ্যক পড়ুয়া গাদাগাদি করে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবারের দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম প্রথম শ্রেণির ছাত্র প্রিয়ম জানার মা সঙ্গীতা জানা বলেন, “সবসময় এই গাড়িগুলিতে অতিরিক্ত পড়ুয়া নিয়ে যাতায়াত চলে। আমরা বললেও গাড়ির মালিক শোনে না। কী করব বাধ্য হয়ে সন্তানদের ছাড়তে হয়।” খড়্গপুরের পাঁচবেড়িয়ার বাসিন্দা ভুট্টু খান বলেন, “আমার মেয়ে পুলকারে স্কুলে যায়। এক-একটি গাড়িতে ১৫-১৬ জন পড়ুয়াকে ওটানো হয়। আমরা প্রতিবাদ করলে গাড়ির মালিক আমার মেয়েকে নেবে না। তাই বাধ্য হয়ে বিপদ বুঝেও ছাড়তে হয়। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত।”

দুর্ঘটনায় জখম পড়ুয়াদের মধ্যে ১০ জন খড়্গপুর শহরের সেন্ট অ্যাগনেস স্কুলের পড়ুয়া। একজন সেক্রেড হার্ট স্কুলে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামলপুরের কাছে একটি বাইক আরোহীকে পাশ কাটানোর সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। ওই পড়ুয়াদের খড়্গপুরে নিয়ে আসার দায়িত্বে থাকা পুলকার ব্যবসায়ী লালু চক্রবর্তী দাবি করছেন, “আমরা চারটি গাড়িতে স্কুল পড়ুয়াদের বেলদা থেকে খড়্গপুরে নিয়ে আসি। কখনও অতিরিক্ত পড়ুয়া বহন করি না।’’

পরক্ষণেই তাঁর স্বীকারোক্তি, ‘‘স্কুলে বিভিন্ন সময়ে ছুটির নিয়ম থাকায় কখনও ছুটির সময়ে একটু বেশি সংখ্যক পড়ুয়া বহন করতে হয়। আর অভিভাবকদের চাপেই সেটা করতে হয়।”

Car Accident Student
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy