E-Paper

বকেয়া টাকা পাওয়া যাবে, প্রশ্নের মুখে আশ্বাস কেন্দ্রীয় দলের

বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ বন্ধ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এর মাঝেই ফের জেলায় আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে এসেছে কেন্দ্রীয় দল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:১৪
আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে ঝাড়গ্রামে দুই সদস্যের কেন্দ্রীয় দল।

আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে ঝাড়গ্রামে দুই সদস্যের কেন্দ্রীয় দল। —নিজস্ব চিত্র।

আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে এসে একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে নালিশ শুনলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা আশ্বাসও দিলেন, ‘‘মিলেগা মিলেগা। হামলোগ ইঁহাসে যানেকে বাদ মিলেগা....।’’

বুধবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম ব্লকের আগুইবনি পঞ্চায়েতের ছোট একতাল গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবাসের কাজ পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় দল। যাঁরা বাড়ি পেয়েছেন ও যাঁদের তালিকায় নাম থাকার পরেও নাম বাদ গিয়েছে, এ রকম বাড়িগুলিতে যান দুই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি। ছোট একতাল গ্রামের বাসিন্দা সালমা মুর্মু একবার আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু তারপরও সালমার বাড়ির তালিকায় নাম থাকায় নাম বাদ যায়। এ দিন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা সালমার বাড়ি যেতেই তিনি ঝাঁঝিয়ে বলেন, ‘‘মাটি কেটে মাথায় করে ঝুড়ি ঝুড়ি মাটি ফেলেছি। সেই টাকা এখনও পাইনি। কবে পাব?’’ তখন কেউ অবশ্য কোনও উত্তর দিতে পারেননি। সালমা পরে বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজ করে টাকা পাইনি। ওই টাকায় সংসারে অনেক সুবিধা হত। এটা তো আমার হকের টাকা।’’

বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ বন্ধ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এর মাঝেই ফের জেলায় আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে এসেছে কেন্দ্রীয় দল। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন, ‘‘দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল এসেছে। তাঁরা ব্লকে ব্লকে পরিদর্শন করছেন।’’ বুধবার ঝাড়গ্রাম ব্লকের চুবকা ও আগুইবনি পঞ্চায়েত এলাকায় যান তাঁরা। আগুইবনি গ্রামের বাসিন্দা মিহির পালোইও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কাছে জানতে চান, কেন তাঁরা একশো দিনের কাজ করেও টাকা পাচ্ছেন না। গ্রাম পরিদর্শনের পর স্থানীয় কয়েকজন স্যর স্যর বলে হিন্দিতে ওই একথা বলেন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা তখন জানতে চান কিসের টাকা? পাশ থেকে ঝাড়গ্রামের বিডিও জয় আহমেদ জানান, একশো দিনের কাজের টাকা। লোকজনও চিৎকার করে বলে ওঠে, একশো দিনের কাজের টাকা। তখনই কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা জানান, তাঁরা ফিরে গেলে টাকা পাওয়া যাবে।

আগুইবনি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি জগদীশ মাহাতো বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কাছে পেয়ে মানুষ সমস্যা জানিয়েছেন। ওঁরা আবাস যোজনায় ত্রুটি খোঁজ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পাননি।’’ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি দেবাশিস কুণ্ডুর দাবি, ‘‘তৃণমূল নেতৃত্ব মানুষজনকে উস্কে এ সব কথা বলাচ্ছেন।’’

গত বছর অগস্টে একশো দিনের প্রকল্প, আবাস যোজনার বাড়ির কাজ দেখতে জেলায় তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল এসেছিল। জেলায় একশো দিনের কাজে ৪৬ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আর আবাস যোজনার টাকা ২০২২-২৩ আর্থিক বছর থেকে আসেনি। ফলে আবাসের বাড়ি তৈরি বন্ধ রয়েছে।অথচ ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে ২২,৪৮৬টি বাড়ির অনুমোদন মিলেছে। আজ, বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের নয়াগ্রাম যাওয়ার কথা রয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Central Team Jhargram

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy