Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

নিচুতলায় ফেরার ডাক সিটুর সম্মেলনে

সুদিন গিয়েছে। সংগঠনের সদস্যও অনেক কমেছে। পরিস্থিতি দেখে নিচুতলায় ফেরার ডাক দিলেন সিটু নেতৃত্ব।শনিবার থেকে মেদিনীপুর শহরে শুরু হয়েছে সিটুর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন। এ দিন প্রকাশ্য সমাবেশ হয় লোধা স্মৃতি ভবনে।

বক্তা: মেদিনীপুর সম্মেলনে দীপক দাশগুপ্ত। নিজস্ব চিত্র

বক্তা: মেদিনীপুর সম্মেলনে দীপক দাশগুপ্ত। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৭ ০২:৫০
Share: Save:

সুদিন গিয়েছে। সংগঠনের সদস্যও অনেক কমেছে। পরিস্থিতি দেখে নিচুতলায় ফেরার ডাক দিলেন সিটু নেতৃত্ব।

শনিবার থেকে মেদিনীপুর শহরে শুরু হয়েছে সিটুর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন। এ দিন প্রকাশ্য সমাবেশ হয় লোধা স্মৃতি ভবনে। সেখানেই নেতৃত্বের বার্তা, এখন একেবারে নিচুতলা থেকে শ্রমজীবী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ধীরে ধীরে সংগঠনের প্রসার ঘটাতে হবে। এ দিনের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দীপক দাশগুপ্ত, দীপক সরকার প্রমুখ। সমাবেশে দীপক সরকার বলেন, “ন্যায্য দাবিদাওয়াকে সামনে রেখে সংগ্রাম করতে হবে। আরও বেশি করে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে হবে।’’ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ঐক্য, ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার বার্তা দেন দীপক দাশগুপ্ত।

বাম আমলে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন কলকারখানায় শক্তিশালী ইউনিট ছিল সিটুর। অবশ্য রাজ্যে পালাবদলের পরপর সেই প্রভাব কমতে থাকে। এখন জেলার সব কলকারখানায় সংগঠনের ইউনিটই নেই। স্বাভাবিক ভাবে শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে সেখানে লড়াই- সংগ্রাম চালানো সম্ভব হয় না। এই সময়ের মধ্যে সিটুর সদস্য অনেকটাই কমেছে। সংগঠনের এক সূত্রে খবর, এখন পশ্চিম মেদিনীপুরে সিটুর সদস্য সংখ্যা প্রায় ২৪ হাজার। অথচ, বছর ছয়েক আগেও সদস্য সংখ্যা ছিল ৪২ হাজারের কাছাকাছি। সিটুর এক জেলা নেতার স্বীকারোক্তি, “পেরিয়ে আসা সময়ের বেশির ভাগটাই নজিরবিহীন সন্ত্রাস ও প্রতিকূলতা মোকাবিলায় সাংগঠনিক কাজকর্মের ধারাবাহিকতা কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়েছে।” তিনি মানছেন, “সবচেয়ে নীচের তলার কমিটি অর্থাত্‌, প্রাথমিক কমিটিকে জীবন্ত রাখতে না- পারলে সাধারণ সদস্যদের সঙ্গে সংযোগ শুকিয়ে যায়। সংগঠন বিস্তারের কাজ ব্যাহত হয়। এই বিষয়টি আরও বেশি করে নজরে আনা হবে।”

সকালে সমাবেশের পরে বিকেলে সম্মেলন শুরু হয়। সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশের পরে তা নিয়ে আলোচনা শুরু করেন প্রতিনিধিরা। দু’দিনের এই অষ্টম জেলা সম্মেলন শেষ হবে আজ, রবিবার। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দুই সরকারেরই সমালোচনা করেন নেতৃত্ব। দীপক সরকার বলেন, “তৃণমূল- বিজেপি দিল্লিতে দোস্তি করছে। আর এখানে কুস্তি। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।” জেলার এক সিটু নেতার আশা, “লড়াই-সংগ্রাম থাকলে আগামী দিনে সংগঠন নিশ্চিত ভাবেই বাড়বে। শ্রমজীবী মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকলেই নিচুতলার সংগঠন মজবুত হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

CITU
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE