Advertisement
E-Paper

বহুতলে না, দ্বন্দ্ব গড়াল মারামারিতে

পুরসভার ১৯, ওয়ার্ডের অন্তর্গত খরিদা বাজারে একটি বহুতল তৈরি করছেন স্থানীয় কাউন্সিলর সুনীতা গুপ্তের স্বামী রাজু। মাসকয়েক আগে শুরু হয় নির্মাণ। সম্প্রতি ওই জমির মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা জনৈক অনুপ মণ্ডল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। এতে সমর্থন রয়েছে প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যদেও শর্মার।  আদালত নির্মাণে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৮ ০১:১৬
খড়্গপুরের খরিদা বাজারের এই নির্মাণ ঘিরেই দ্বন্দ্ব। নিজস্ব চিত্র

খড়্গপুরের খরিদা বাজারের এই নির্মাণ ঘিরেই দ্বন্দ্ব। নিজস্ব চিত্র

একটি নির্মীয়মাণ বহুতল নিয়ে সংঘর্ষে জড়ালেন প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী। বুধবার বিকেলে খড়্গপুরের খরিদা বাজার এলাকার ঘটনায় দু’পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

পুরসভার ১৯, ওয়ার্ডের অন্তর্গত খরিদা বাজারে একটি বহুতল তৈরি করছেন স্থানীয় কাউন্সিলর সুনীতা গুপ্তের স্বামী রাজু। মাসকয়েক আগে শুরু হয় নির্মাণ। সম্প্রতি ওই জমির মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মালঞ্চ এলাকার বাসিন্দা জনৈক অনুপ মণ্ডল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। এতে সমর্থন রয়েছে প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যদেও শর্মার। আদালত নির্মাণে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।

১৯৯০সালে নির্দল কাউন্সিলর হন সত্যদেও। তার পরে কখনও কংগ্রেস, কখনও নির্দল হয়ে নির্বাচনে লড়াই করেছেন। একসময়ে খড়্গপুর বিকাশ মঞ্চ নামে নিজেই একটি সংগঠন তৈরি করেন। শেষবার ফের কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। ২০১৫সালের পুরসভা নির্বাচনে সত্যদেও-এর স্ত্রীকে হারিয়ে জয়ী হন ব্যবসায়ী রাজু গুপ্তের স্ত্রী সুনীতা।

রাজুর সঙ্গে সত্যদেও-এর বিবাদ দীর্ঘদিন ধরে। রাজুর স্ত্রী জয়ী হওয়ার পরে তিক্ততা আরও বেড়েছে। বছর খানেক আগে কংগ্রেস থেকে সরে এসে সত্যদেও বিজেপির দিকে ঝুঁকছিলেন। ছেলে নিতিন শর্মা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও নিজে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত নেই বলে দাবি করছেন সত্যদেও। তবে ওয়ার্ডের স্বার্থে তিনি লড়াই করছেন বলে দাবি করছেন।

বুধবার বিকেলে নির্মীয়মাণ বহুতল নিয়ে বাজারের মধ্যেই কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন অনুপ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সত্যদেও এবং তাঁর ছেলে নিতিন। বাড়তে থাকে বচসা। কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি। রাজুকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অনুপও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। অনুপের কথায়, “ওই জমিতে বেআইনিভাবে রাজু গুপ্ত বহুতল তৈরি করছে। আমি শহরের সাধারণ মানুষ হিসাবে বিষয়টি পুর কর্তৃপক্ষের নজরে এনেছি। তার পরে মহকুমাশাসকের জমি সংক্রান্ত আদালতে মামলা করেছি।’’ অনুপের দাবি, ‘‘মহকুমাশাসকের আদালত ওই জমিতে নির্মাণের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে। কিন্তু রাজু সেই নির্দেশ মানছে না।” সত্যদেও বলেন, ‘‘অনুপের কথার সমর্থন জানিয়েছিলাম। তখনই আমাকে মারধর করে রাজু। নিজে বাঁচতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।” যদিও অভিযোগ উড়িয়ে রাজু গুপ্ত বলেন, “মারধরের অভিযোগ মিথ্যা। আমাকে ওঁরা লোহার রড দিয়ে মাথায় মেরেছে। ওই জমি অবৈধ নয়।”

পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের বক্তব্য, “রাজু গুপ্ত যে বাড়ি করছেন তার নকশার অনুমোদন এখনও মেলেনি। বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জানতে চেয়েছিল। আমরা জানিয়ে দিয়েছি।’’

Clash Construction Leader TMC Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy