Advertisement
০২ মে ২০২৪

রাস্তা নিয়ে বোমাবাজি ভগবানপুরে

সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই এই ঘটনা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চায়নি। তাঁদের অভিযোগ, সিপিএমের লোকজনই গোলমাল পাকিয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁথি শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৭ ০৩:১১
Share: Save:

ঢালাই রাস্তা বাঁধানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বুধবার উত্তপ্ত হল ভগবানপুর থানার লালপুর। দু’তরফেই গুলি ও বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। তবে কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। বোমাবাজি হয়েছে স্বীকার করলেও গুলি চলার কথা মানতে চায়নি পুলিশ।

সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই এই ঘটনা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চায়নি। তাঁদের অভিযোগ, সিপিএমের লোকজনই গোলমাল পাকিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, লালপুর গ্রামের ফতেউদ্দিন তেমাথানিমোড় থেকে ১২৭ মিটার লম্বা রাস্তাটি দিন পনেরো আগে ঢালাই হয়। বুধবার ঢালাই রাস্তার দু’দিকের অংশ বাঁধানোর জন্য ইট ও বোল্ডার ফেলা শুরু হয়। কাজ করছিল ভগবানপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতি। শ্রমিকেরা এদিন কাজে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা প্রাক্তন সভাপতি তৃণমূল নেতা হারুন রশিদের অভিযোগ, “সিপিএম নেতা সেখ আসরাফ আলি ও স্থানীয় যুবক আজিজুল ইসলাম রাস্তার কাজে বাধা দিচ্ছে।’’ তাঁর অভিযোগ, বুধবার সিপিএমের লোকজন যখন কাজে বাধা দিচ্ছিল সেই সময় তিনি রাস্তা দিয়ে আসছিলেন। তারা তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করে। বোমাবাজি ও শূন্যে গুলি ছোড়ে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে সেখ আসরাফ আলি বলেন, “সিপিএমকে মিথ্যা জড়ানো হচ্ছে। রাস্তার কাজ নিম্নমানের হচ্ছে বলে এলাকার যুবক আজিজুল ইসলাম প্রতিবাদ করেছিলেন।’’ তিনি জানান, আজিজুল স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা আসমানি বিবির ভাই। তাই এটা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই। তবে নিম্নমানের রাস্তার জন্য তাঁরাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আজিজুল ইসলামের অভিযোগ, “হারুন রশিদের লোকেরাই এ দিন বোমাবাজি করে ও গুলি চালায়।’’ তাঁর অভিযোগ, হারুনের ভাই সেখ কুতুবুদ্দিন গীতাঞ্জলি প্রকল্পের আওতায় না পড়া সত্ত্বেও বাড়ি করতে টাকা পায়। তা ছাড়া ওই টাকায় সে ঘরও করেনি। মাসখানেক আগে পঞ্চায়েতে এই বেনিয়ম নিয়ে জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বিডিও সকলের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তারই প্রতিশোধ নিতে রাস্তার অজুহাত তুলে হারুন ও তার দলবল এ দিন বোমাবাজি করে।

জেলা পুলিশ সুপার আলোক রাজোরিয়া বলেন, “বোমাবাজি হলেও গুলির অভিযোগ ঠিক নয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।’’ ভগবানপুর ১ –এর বিডিও পরিতোষ মজুমদার বলেন, “আগেও রাস্তা নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছিল। এদিনও ওই রাস্তা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।’’ তবে গীতাঞ্জলি প্রকল্পে বেনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE