২১ জুলাই কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশ। তার আগে মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, ক্ষীরপাই, জাড়া-সহ কয়েকটি জায়গায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই যাত্রী নামিয়ে বাস আটকে দেওয়া হয়। বাস আটকে দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন বাস মালিকেরাও। বাস মালিকেরাও বাস বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দেন। ঘটনার কথা শুনে দ্রুত পদক্ষেপ করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। ময়দানে নামে পুলিশও। ঘণ্টা তিনেক পর আটকে রাখা ৭-৮টি বাস ছেড়ে দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।
ঘটনার পরেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি সমস্ত নেতা-কর্মীদের সাফ জানিয়ে দেন, “কোথাও জোর করে গাড়ি আটকে রাখা যাবে না। যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া চলবে না। নিয়ম মেনে স্থানীয় বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে, ভাড়া মিটিয়ে বাস নিতে হবে নির্দিষ্ট দিনেই।” এ নিয়ে জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি বলেন, “এখনও তো অনুষ্ঠানের দু’দিন বাকি। তার আগেই কেন এ সব করছে বুঝতে পারছি না। আমরা তো সব সমাবেশেই বাস দিই। নিয়ম মেনে সকলে বাস নিলে যাত্রী বা বাস মালিক - কাউকেই হেনস্থার শিকার হতে হয় না। আমরা নিয়ম মেনে বাস নেওয়ার জন্য তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানিয়েছি।”
মাঝপথে বাস আটকালে সমস্যার শিকার হন যাত্রীরা। তাই বাস যাত্রীদের দুর্ভোগ এড়াতে তৎপর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এ দিন জাড়াতে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা একটি বাস আটকে দেন। বাস মালিক হাফিজুর রহমান বলেন, “কেশপুরের পঞ্চমী থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব আমাদের বাস নিয়ে কলকাতায় যাবে বলে বায়নাও করে দিয়েছে। অন্যত্র যাতে কেউ বাস না ধরে সে জন্য বায়নার কাগজও গাড়িতে রাখা আছে। তা দেখানো সত্ত্বেও গাড়ি আটকে রাখে।”
বাস মালিকদের আশঙ্কা, ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় বাসের বায়না করা চলছে। ফের অন্য কোথাও বাস আটকালে সমস্যা বাড়বে। কেননা যারা বাস ভাড়া নিয়েছেন তারা অগ্রিম টাকার একটা অংশও দিয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তারা বাস না পেলে ক্ষোভের মুখে পড়তে হবে। এই ঘটনা বন্ধ করতে বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা করেই বাস নেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন বাস মালিকেরা। বাস্তবে কী হয়, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy