আরও একবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের কোন্দল। এ বার কেশপুরের আনন্দপুর। জানা গিয়েছে, একটি সংস্থায় অস্থায়ী কর্মী নিয়োগকে ঘিরে দলের একাংশের কর্মীর সঙ্গে মতবিরোধ হয়েছিল দলীয় আনন্দপুরের পঞ্চায়েত প্রধান প্রসন্ন পালের। তারপর নিজের কার্যালয়েই তাঁকে হেনস্থা করা হয়। তারপর থেকে আর পঞ্চায়েতে যাননি প্রধান।
সরাসরি কিছু বলতে অবশ্য রাজি হননি প্রসন্নবাবু। শনিবার তিনি বলেন, “বুধবার একটা সমস্যা হয়েছিল। যা জানানোর তা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। দল নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
দলীয় সূত্রে খবর আনন্দপুরের পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পানের ‘সুসম্পর্ক’ নেই। গত বুধবার তিনি নিজের কার্যালয়ে হেনস্থা হন বলে অভিযোগ। দলেরই কয়েকজন কর্মীর দিকে অভিযোগের তির। এ বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান উপরমহলে যাঁদের নামে নালিশ করেছেন তাঁরা সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
ঘটনার পর থেকে আর অফিসমুখো হননি পঞ্চায়েত প্রধান। ফলে শোরগোল পড়েছে কেশপুরে। প্রসন্নবাবু অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জিতে আনন্দপুরের পঞ্চায়েত প্রধান হন। এ দিন সঞ্জয়বাবু কোনও সমস্যার কথা মানতে চাননি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির কথায়, “ওখানে কোনও সমস্যা নেই। কোনও দিন সমস্যা হয়েছে বলে শুনিওনি!”
এ দিন সঞ্জয়বাবু অবশ্য কোনও সমস্যার কথা মানতে চাননি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির কথায়, “কোনও সমস্যা নেই। কোনও দিন সমস্যা হয়েছে বলেও শুনিনি।” যদিও শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “আনন্দপুরে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তাও দেখছি ঠিক কি হয়েছে। দল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।”
তবে দলের এক সূত্রে খবর, এই প্রথম নয়, আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। মাস কয়েক আগেই প্রধানের পদ থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন প্রসন্নবাবু। দলীয় নেতৃত্বের কাছে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। পরে জেলা সভাপতির মধ্যস্থতায় জট কাটে।
আজ, রবিবার গড়বেতায় তৃণমূলের জেলা কমিটির বর্ধিত বৈঠক রয়েছে। সেখানে কড়া বার্তা দেওয়া হতে পারে বলে এক সূত্রে খবর।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু। শনিবারের এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল সাবির আলি (৩২) নামে এক বাইক আরোহীর। তিনি ভবানীপুর থানার দ্বিঘাসিপুর এলাকার বাসিন্দা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy