হিমঘরে মজুর নিয়োগ ঘিরেও বাধল তৃণমূলের কোন্দল।
শুক্রবার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বসনছড়ায় গোষ্ঠী কাজিয়ার জেরে ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারীকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। শনিবারও উত্তেজনা থাকায় পরিস্থিতি সামলাতে আসে পুলিশ। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “চন্দ্রকোনায় একটা সমস্যা হয়েছে। বিষয়টি মিটিয়ে নিতে স্থানীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছি।” পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষই থানায় এসেছিল। সমস্যা মিটে গিয়েছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারীর সঙ্গে স্থানীয় নেতা অশোক পালধির বিরোধ রয়েছে। অমিতাভ, দীনেন রায়ের অনুগামী বলে পরিচিত। কোন্দল ঠেকাতে সম্প্রতি অশোককে ব্লকের কাযর্করী সভাপতি করা হয়। এর পরই অমিতাভ ও তাঁর অনুগামীদের কোণঠাসা করতে অশোক গোষ্ঠী আসরে নামে বলে তৃণমূলেরই এক সূত্রে দাবি।
গত ১ মার্চ থেকেই জেলার সব হিমঘর খুলছে। আলুর এই মরসুমে বহু অস্থায়ী মজুর হিমঘরে কাজ পান। মূলত ঠিকাদাররাই মজুর নিয়োগ করেন। বসনছড়ার একটি হিমঘরে বাসুদেব রায় নামে অশোক অনুগামী এক যুবক ছিলেন ঠিকাদার। আচমকাই বাসুদেবকে সরিয়ে ব্লক সভাপতির অনুগামী সোনা হাজরা এবং অশোক ভাণ্ডারীকে ঠিকাদারের দায়িত্ব দেওয়া হলে গোলমাল বাধে। আইএনটিটিইউসি-র ব্লক সভাপতি পাঁচুগোপাল ঘোষের দাবি, “বাসুদেব নিজেই কাজ করতে চাননি।” যদিও বাসুদেব বলছেন, “আমাকে জোর করেই বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।”
শুক্রবার অশোক দলবল নিয়ে ওই হিমঘরে গেলে প্রথমে দু’পক্ষের বচসা হয়। পরে তা গড়ায় হাতাহাতিতে। অমিতাভ বলেন, “বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।” আর অশোকের দাবি, ‘‘আমাকে প্রথমেই মারধর করা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy